পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশনি-সংকেত २०3 বক্ষন, আমি ওদের ডেকে নিয়ে একটু পরামর্শ করি— একটা কাটালতলায় সকলে মিলে জোট পাকিয়ে কি বলা-কওয়া করলে, তারপর বিজ্ঞ লোকটি আবার ফিরে এসে গঙ্গাচরণের কাছে বসলে । বললে—সব ঠিক হয়ে গেল দাদাঠাকুর -कि ? —সবাই ছেলে পেটিয়ে দেবে কাল থেকে। ওনার আর একটা কথা বলচেল— —কি কথা ? —আমাদের এখেনে যদি পাঠশালা খোলেন তবে কেমন হয় ? —দু’জায়গায় হয় না। ও গ্রামে বাস করি, এ গ্রামে পাঠশালা—তাও হয় না । —কত দিতে হবে আমাদের, একটা ঠিক করে দ্যান— —আমার বাপু জোরজবরদস্তি নেই, বিদ্যাদানং মহাপুণ্যং, বিদ্যাদান করলে কোটি অশ্বমেধের ফল লাভ হয়। তবে আমারও তো চলা-চলতির ব্যবস্থা একটা চাই, এই বুঝে তোমরা যা দাও। নিজেরাই ঠিক করে। আমার মুখে বলাটা ভালো হবে না। গঙ্গাচরণ অভিজ্ঞ ব্যক্তি। এভাবে অগ্রসর হলে ফল ভাল হয় সে জানে। কাজেই বাড়ীতে ফিরে অনঙ্গ যখন বললে—ত ওদের ওপর ফেলে দিলে কেন ? তোমার নিজের বলা উচিত ছিল—তখন গঙ্গাচরণ হেসে বললে-আরে না জেনে কি আর আমি তাড় ঘাটতে গিয়েচি। আমি নিজের মুখে হয় তো বলতাম চার আন—ওর দেবে আট আনা-দেখে নিও তুমি। পরদিন সকালে খোদ বিশ্বাস মশাইকে নিজের বাড়ীতে আসতে দেখে গঙ্গাচরণ বিস্থিত হোল। ছেলেকে ডেকে বললে—পটলা, ডেকৃসোটা নিয়ে আর চট করে— ডেকৃসে মানে একটা কেরোসিন কাঠের পুরোনো প্যাক বাক্স। এর নাম ‘ডেকৃসো' কেন হয়েচে তার ঐতিহাসিকতা নির্ণয় করা দুষ্কর। বিশ্বাস মশায় বললেন—থাক থাক—আমার জন্তে কেন— —সে কি হয় ? বক্ষন বসুন—তারপর কি মনে করে সকালবেলা ? —একটা কথা ছিল। আমার বাড়ীতে কাল আপনি সমস্থতো বলেচেন, বাড়ীর মেয়ের সব শুনেচে । আমার একটা গাইগঞ্চর আজ মাসাবধি হোল দড়ি গলায় আটকে অপমিত্যু ঘটেচে। সবারই মন সেজন্তে খারাপ। আমার নাতির অসুখ সেই থেকে সারচে না—জর আর শর্দি-লেগেই আছে—বুঝলেন ? গঙ্গাচরণ গম্ভীর ও চিন্তাকুল ভাবে ঘাড় নাড়তে লাগলো। ভাবটা এই রকম যে, “ও ' ८ठां मां श८ब्रहे यांब्र मॉ" বিশ্বাস মশায় বললেন—এখন কি করা যায় ? কাল রাত্তিরে আমার পরিবার বললে— ওনার কাছে যাও, উনি পণ্ডিত লোক, একটা ছিলে হবে। बिं. ब्र, &-x8