পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** `दिङ्मांड-ब्रध्नाबणैौ ছেলের বে। ঘরে আনতে হবে খেয়াল আছে ? বলেই এসে স্বামীর পাশে বসে বাটি থেকে এক মুঠো দ্বি-মাখ মুড়ি তুলে নিয়ে মুখে ফেলে দিল। স্বামীর দিকে বিলোল কটাক্ষে চেয়ে বললে—মনে পডে, সেই ভাতছালায় বিলের ধারে একদিন তুমি আর আমি একবাটি থেকে টিডের ফলার খেয়েছিলাম ? হাবু তখন ছোট । অনঙ্গ-বেয়ের হাসি ও চোখের বিলোল দৃষ্টি প্রমাণ করিয়ে দিলে সে বিগতযৌবন নয়, পুরুষের মন এখনও হরণ করার শক্তি সে হারায় নি। গঙ্গাচরণ স্ত্রীর দিকে চেয়ে রইল মুগ্ধ দৃষ্টিতে। ফাল্গুন মাসের শেষে গঙ্গাচরণ একদিন পাঠশালার ছুটি দিয়ে চলে আসছে, কামদেবপুরের দুর্গ পণ্ডিত পথে ওকে ধরে বললে—ভাল আছেন ? সেদিন গিয়েছিলেন কামদেবপুর, আমি ছিলাম না, নমস্কার। —নমস্কার। ভাল আছেন ? —একরকম চলে যাচ্ছে। আপনার সঙ্গেই দেখা করতে আসা । —কেন বলুন ? —আমার তো আর ওখানে চলে না । পৌনে সাত টাকা মাইনেতে একেবারে অচল হোল । চালের মণ হয়েচে দশ টাকা । গঙ্গাচরণের বুকটার মধ্যে ধ্বক্ করে উঠলো। অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে দুর্গ পণ্ডিতের দিকে চেয়ে সে বললে—কোথায় শুনলেন ? —আপনি জেনে আসুন রাধিকাপুরের বাজারে। —সেদিন ছিল চার টাকা, হোল ছটাকা, এখন আমনি দশ টাকা । —মিথ্যে কথা বলি নি। খোজ নিয়ে দেখুন। —মণে চার টাকা চডে গেল ! বলেন কি ? —তার চেয়েও একটি কথা শোনলাম, তা আরও ভয়ানক । চাল নাকি এইবার না কিনলে এরপরে বাজারে আর মিলবে না। শুনে তো পেটের মধ্যে হাত পা ঢুকে গেল মশাই । গঙ্গাচরণের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গ পণ্ডিত ওর বাঙী পৰ্য্যন্ত এল। গঙ্গাচরণের বাইরের ঘর নেই, উঠোনের ঘাসের ওপরে মাছর পেতে দুর্গা পণ্ডিতের বসবার জায়গা করে দিলে। তামাক সেজে হাতে দিলে। বললে—ডাব কেটে দেবো ? খাবেন ? —হ্যা, সে তে আপনার হাতের মুঠোর মধ্যে। বেশ আছেন। —আর কিছু থাবেন ? —না, না, থাক । বসুন আপনি । একথা ওকথা হয়, দুর্গ পণ্ডিত কিন্তু ওঠবার নাম করে না ।