পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশনি-সংকেত ૨(t૭ করছিল মনে আছে ? আজি এসেছিল, কি সুন্দর গান যে গায় ! —কে বল তো ? —সেই যে বলে—“উঠ গো উঠ নন্দরাণী কত নিদ্রা যাও গো-বেশ গলা—লম্বা মত, ফসর্প মত বোষ্টমটি— —ওর বাজী বেনাপোল। বেনাপোলের হরিদাস ঠাকুরের পীঠ আছে, সেখানকার কাজকৰ্ম্ম করতো। বেশ গায় । —আমি তাকে বললাম রোজ সকালে এসে আমাদের বাড়ীতে ভগবানের নাম করবে। ভোর বেলায় বড় ভাল লাগে ভগবানের নাম । মাসে একটা টাকা অার এক কাঠা চালের একটা সিধে দিতে হবে বলেচে, এই ধরে ডাল, হুন, বড়ি, দুটাে আলু, বেগুন, একটু তেল— এই। আমি বলিচি দেবো। কাল থেকে গাইতে আসবে। হ্যাগ, রাগ করলে না তো শুনে ? —তোমার যে পাগলামি । বলে, নিজে খেতে জায়গা পায় না, শঙ্করাকে ডাকে। দেবে কোথা থেকে ? —তুমি ঝগড়া কোরো না। সকালে উঠে ভগবানের নাম শুনবে যে রোজ রোজ তখন ? হু-ই-আমি যেখানে থেকে পারি জুটিয়ে দেবে, তুমি ভেবো না কিছু। গরীব বলে কি ভাল গান শুনতে নেই ? পরদিন খুব ভোরে সেই বোষ্টমটি স্বস্বরে প্রভাতী গান গাইতে গাইতে ওদের উঠানে এসে দাড়ালে । অনঙ্গ-বোঁ খুশিতে ভরপুর হয়ে পাশের ঘরে এসে স্বামীকে ডেকে বললে—ওগো শুনচো ? কেমন গায় ? অার ভগবানের নাম—বেশ লাগে—না ? গঙ্গাচরণ কিছু জবাব না দিয়ে মৃদু হেসে পাশ ফিরে শুয়ে রইল। অনঙ্গ-বেী রাগ করে বললে—আহা, চং দ্যাখো ! ওগো গান শোনে—তাতে জাত যাবে না। —আমি কি রাজা যে বীৰু প্রভাতী গান গেয়ে আমার ঘুম ভাঙাবে ? তোমার পয়সা থাকে তুমি বন্দীদের মাইনে দিয়েMঙ্গ রানী। আমি ওর মধ্যে নেই। —আমার বন্দীর গান যে শুনবে, তাকে পয়সা দিতে হবেই। তবে কানে আঙুল দাও-- গঙ্গাচরণ হেসে কান চেপে ধরে বললে—এই দিলাম। একটু বেলা হোলে অনঙ্গ-বেী রায় চড়ালে, তার পরে মনে মনে হিসেব করে দেখলে দিন দশ বারো পরে চাল একেবারে ফলিয়ে যাবে, তখন উপায় কি হবে ? চাল নাকি হাটে পাওয়া যাচ্চে না । সবাই বলচে । তার স্বামী নির্বিবরোধী মানুষ, কোথা থেকে কি যোগাড় করবে এ দুর্দিনে ? ভাবলে মায়া হয়। কাপালীদের ছোট-বেী চুপি চুপি এসে বললে—বামুন-দিদি, একটা কথা বলবো ? এক, খুঁচি চাল ধার দিতি পারো ? —মুশকিল করলি ছোটবোঁ। তোদের চাল কি বাড়ন্ত । —মোটে নেই। কাল ছোলা সেদ্ধ খেয়ে সব আছে। না হয় ছোট ছেলেটিকে দুটি खां७ लिe cqर्थन ििम । व्यांमब्रां शां श्ब्र कब्रदद ५ीर्षन ।