পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৬ বিভূতি-রচনাবলী তুমি। তুমি সতীলক্ষ্মী, পায়ের ধুলো দিও–নরকে গিয়েও যাতে দুটাে খেতি পাই— অনঙ্গ-বেয়ের চোখের জল এল। সে কোনো কথা না বলে চুপ করে রইল। কাপালী-বেী বললে—নেবা দুটে চাল ? -न, छूहे या —তবে মর গিয়ে। আমিই খাই গিয়ে। কই মুন স্থাও— মুন নিয়ে চলে গেল কাপালী-বে। কিছুদূর গিয়ে আবার ফিরে এসে বললে, ও বামুনদিদি, আজ তুমি কি খেয়েচ ? —ভাত । —ছাই—সত্যি বলে । —যা খাই তোর কি ? যা তুই— কাপালী-বোঁ এগিয়ে এসে বললে-পায়ের ধুলো একটু দ্যাও—গঙ্গা নাওয়ার কাজ হয়ে षiश्व বলেই সে অনঙ্গ-বেয়ের দুই পায়ের ধুলো দুই হাতে নিয়ে মাথায় দিলে। তারপর কি একটা বলতে যাচ্ছিল, এমন সময়ে গঙ্গাচরণ এসে পড়াতে সে ছুটে পালালো । গঙ্গাচরণ বললে—ও কে গেল গা ? —ছোট-বোঁ কণপালীদের। —কি বলছিল ? —দেখা করতে এসেছিল। চাল পেলে ? —এক জায়গায় সন্ধান পেয়েচি । ষাট টাকা মণ—ভাবচি কিছু বাসন বিক্রি করি। —তাতে ষাট টাকা হবে ? —কুডি টাকা তো হবে। তেরো সের চাল কিনে আনি—আর না খেয়ে তো পারা স্বায় না, সত্যি বলচি— —তার চেয়ে আমার সোনা-বাধানো শাখাটা বিক্রি করে এস। বাসন থাক গে— —তোমার হাতের শাখা নেবো ? —না নিলে অনাহারে মরতে হবে। যা ভালো বোঝে তাই করে। পরদিন গঙ্গাচরণ শাখাজোড়া গ্রামের সর্ব স্তাকরার দোকানে বিক্রি করলে। সৰ্ব্ব স্তাকরা বললে—এ জিনিস বিক্রি করবেন কেন ? —দরকার অাছে । কিন্তু চাল পাওয়ার যে এত বিপুল বাধা তা গঙ্গাচরণ জানতো না। শঙ্করপুরের নিবারণ ঘোষের বাড়ী চালের সন্ধান একজন দিয়েছিল । খুব ভোরে পরদিন উঠে সেখানে পৌছে দেখলে দশজন লোক সেখানে ধামা নিয়ে বসে। বাড়ীর মালিক তখনো ওঠে নি। নিবারণ দোর খুলে বাইরে আসতেই সবাই মিলে তাকে ঘিরে ধরলে। সে বললে—আমার চাল নেই—