পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশনি-সংকেত Rసిరి —নিয়ে এলাম মা, আনলেই কাজ দেয়। খাবার জিনিস তো ? বড়ি দিও। —কলাই খেয়ে প্রাণ বেঁচে আছে, বড়ি আর কি দিয়ে দেবো জ্যাঠামশাই ? —আচ্ছা রও, কলাইয়ের ব্যবস্থা করে ফেলচি কাল থেকে । —না, জ্যাঠামশাই আপনি আমাদের বাড়ী এসেচেন, আর বেরুতে হবে না লোকের বাড়ী চাইতে । যা জোটে তাই খাবো । —কি জান মা, ব্রাহ্মণের উপজীবিকা হোল ভিক্ষ । এতে লজ্জা নেই কিছু। আমার নেই, আমি ভিক্ষা করবো। লড়াই বেধেচে বলে পেট মানবে ? —না জ্যাঠামশাই, আপনার পায়ে পড়ি ওতে দরকার নেই। —আচ্ছা, তুমি চুপ করে থাক। সে ব্যবস্থা হবে। দুর্গ ভট্চায গঙ্গাচরণকে সন্ধ্যাবেল বললে—একটা পবামর্শ করি । চাষাগীয়ে জ্যোতিষীর ব্যবস বেশ চলে। কাল থেকে বেরুবেন ? ওদেরই হাতে আজকাল পয়সা । —সে গুড়ে বালি । আগে চলত, এখন আর চলবে না । চাল ডাল কেউ দিতে পারবে না । পয়সা হয়ত দেবে কিন্তু চাল দেবে কে ? কিনবেন কোথায় ? —ধান যদি দ্যায় ? —কোথাও নেই এদেশে । সে যার অাছে, মুকিয়ে রেখেচে, বের করলে পুলিসের BBB S BB BB BB BBB BB S BBBSBBB BBB BBBB BBBB BB BBS —তাহলেও কাল দুজনে বেকই চলুন। নয়ত না খেয়ে মরতে হবে সপরিবারে । —যার জমি নেই এ বাজারে, তাকে উপোস করতেই হবে। জমি না চষে পরের খাবে, এ আর চলবে না। চাষা লাঙ্গল ধরে চাষ করে, আমরা তার ওপর বসে খাই, এ ব্যবস্থা ছিল বলেই আজ আমাদের এ দুশা। গঙ্গাচরণ একটু দম নিয়ে আবার বললে –না, ও জ্যোতিষ-টোতিষ নয়, এবার যদি নিজের হাতে লাঙ্গল ধরে চাষ করতে হয় তাও করব—একটু জমি পেলে হয়। দুর্গ হেসে বললে-জমির অভাবে নেই এদেশে। নীলকুঠির আমল থেকে বিস্তর জমি পড়ে। আমারই বাড়ীর আশেপাশে দু'বিঘে জমি জঙ্গল হয়ে পড়ে রয়েচে । আমার ভিটেজমির সামিল সে জমি । —আপনি করেন না কেন ? —কি করবো তাতে ? —যা হয়, রাঙা আলু করলেও পারতেন। তাই খেয়েও দু'মাস কাটত । আমাদের ভদ্রলোকদের কতকগুলো মস্ত দোষ আছে। পরের পরিশ্রমে আমরা খাব। আপনি আমি . এমন কিছু দুশো টাকার চাকরি করিনে অথচ জমি করব না। এবার টের পাচ্ছি মজা। দুর্গ ভট্টচার্য ওসব বোঝে না। সকলেই চাষ করবে নাকি ? মজার কথা। এ হোল বৈশ্বের কাজ, ব্রাহ্মণে বৈশ্বের কাজ করবে ? তা কালে তাও হবে ; তিনি শুনেচেন শহরে নাকি কোন বামুনের ছেলে জুতোর দোকান করেচে, জুতোর দোকান, ভেবে স্বাখ।