পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిసి ఆ বিভূতী-রচনাবলী কাছে যাওয়ার শক্তি তারও নেই। বললে—ওগো মতিকে কিছু খেতে দিয়ে এসো— —কি দেবো ? —দুটাে কলাইয়ের ডাল আছে ভিজনে । এক মুঠো দিয়ে এসো। —ও খেয়ে কি মরবে ? তার জর আজ কতদিন তা কে জানে। মুখ-হাত ফুলে ঢোল হয়েচে । কেন ও থাইয়ে নিমিত্তের ভাগী হবো! —তবে কি দেবো খেতে ? কি আছে বাড়ীতে ? খুব ব্যস্ত হয়ে পড়লো অনঙ্গ। কিন্তু অন্ত কিছুই ঘরে নেই। কি খেতে দেওয়া যায়, এক টুকরো কচু ঘরে আছে বটে কিন্তু তা রোগীর খাস্ত নয়। হাবু পূব পাড়ার জঙ্গলের মধ্যে থেকে ওই কচুটুকু আজ দুদিন আগে তুলে এনেছিল, দু'দিন ধরেই এক এক টুকরো সিদ্ধ করে খেতে খেতে ওই এক ফালি অবশিষ্ট আছে। ভেবেচিন্তে অনঙ্গ-বে বললে—ই্যাগা, কচু বেটে জল দিয়ে সিদ্ধ করে দিলে রুগী খেতে পারে না ? —ত বোধ হয় পারে, মানকচু ? –জঙ্গুলে মানকচু। —তা দাও । সেই অতি তুচ্ছ খাপ্ত ও পথ্য একটা কলার পাতায় মুডে হাবু মতির সামনে নিয়ে গেল। অনঙ্গ-বেী অতি যত্ব নিয়ে জিনিসট তৈরী করে দিয়েছে। হাবুকে বলে দিয়েছে ওকে এখানে নিয়ে আসবি, বাইয়ের পৈঠেতে বিচুলি পেতে পুরু করে বিছানা করে দিলেই হবে। আমতলায় শুয়ে থাকলে কি বঁচে ? হাৰু গিয়ে ডাকলে,—ও মতি-দিদি, এটুকু নাও – মতি ক্ষীণ মুরে বললে—কি ? —ম খাবার পাঠিয়েচে— —কে ? —আমার মা ? তামার নাম হাবু, চিনতে পারচো না ? মতি কথা বলে না । খানিকক্ষণ কেটে গেল । হাৰু আবার বললে--ও মতি-দিদি ? —কি ? —খাবার নাও । মা দিয়ে:চ পাঠিয়ে। – শালিক পার্থী শালিক পার্থী, ধানের জাওলায় বাস —ও মত-দিদি ? ওসব কি বলচে ? —কে তুমি ? —আমি হাবু। ভাতছালায় আমাদের বাড়ী ছিল, মনে পড়ে ?