পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশনি-সংকেত ኟ፭›ጫ —বিলির ধারের পদ্মফুল, নাকের আগায় মোতির দুল,— —ও রকম বোলো না । খেয়ে নাও, গায়ে বল পাবে। -कि ? —এই খাবার থেয়ে নাও— —কে তুমি ? —আমি হাবু, আমার বাবার নাম গঙ্গাচরণ চক্রবর্তী, পণ্ডিত মশাই ছিলেন, মনে পড়ে না ? -ਂ। —তবে এই নাও খাবার | মা পাঠিয়েচে । —ওখানে রেখে যাও— —কুকুরে খেয়ে ফেলবে। তুমি থেয়ে নাও, নিয়ে আমাদের বাড়ী চলে, মা যেতে বলচে । —কে তুমি ? —আমি হাৰু। আমার বাবার নাম— মতি আর কথা বললে না। যেন ঘুমিয়ে পড়লো। হাবু ছেলেমানুষ,আরও দু'তিনবার ডাক ডাকি করে কোনো উত্তর না পেয়ে সে কচু বাটাটুকু ওর শিয়রের কাছে রেখে চলে এলো । অনঙ্গ-বেী বললে—কিরে, মতি কই ? নিয়ে এলি নে ? —সে ঘুমুচ্ছে মা ! কি সব কথা বলে, আবোল-তাবোল, আমার তো ভয়ই হয়ে গেল। খাবার রেখে এসেচি তার শিয়রে । —আর একবার গি:ে দেখে আসবি একটু পরে । —বাবাকে একটু যেতে বেলো, বাবা ফিরলে। —তুই আর একটু পরে গিয়ে খবারটুকু খাইয়ে আসবি— আরও কিছুক্ষণ পরে হাবু গিয়ে দেখে এল মতি সেই একভাবেই মুখ গুজে পড়ে আছে। উঠলোও না, বা ওর সঙ্গে কোনো কথাও বললে না। কচুবাট সেইভাবে ওর শিয়রের কাছেই পড়ে। হাবু অনেক ডাকাডাকি করলে, ও মতি-দিদি, ও মতি-দিদি—সন্ধ্যা হয়ে এল। অন্ধকার ঘনিয়ে আসবার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে মেঘ দেখা দিলে, বোধ হয় জল হবে । হাৰু খুব ব্যস্ত হয়ে পড়লো বিষ্টিতে ভিজবে এখানে বসে থাকলে। মতি-দিদিও এখানে শুয়ে থাকলে ভিজে মরবে। এখন কি করা যায় ? মাকে এসে ও সব কথা বললে । অনঙ্গ-বেী বললে, ময়নাকে নিয়ে যা, দুজনে ধরাধরি করে নিয়ে এসে বাইরের পৈঠেতে শুইয়ে রেখে দে– * ময়না হাসিখুশি-প্রিয় চঞ্চল মেয়ে। . —সে বললে—আমরা আনতে পারবো। কি জাত কাকীমা ?