পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψ) দিন যতই যাইতে লাগিল, জঙ্গলের মোহ ততই আমাকে ক্রমে পাইয়া বসিল । এর নির্জনত ও অপরাত্বের সিন্ধুর-ছড়ানো বনঝাউয়ের জঙ্গলের কি আকর্ষণ আছে বলিতে পারি না— আজকাল ক্রমশ মনে হয় এই দিগন্তব্যাপী বিশাল বনপ্রস্তর ছাড়িয়া, ইহার রোদপোড়া মাটির তাজ মুগন্ধ, এই স্বাধীনতা, এই মুক্তি ছাডিয়া কলিকাতার গোলমালের মধ্যে আর ফিরিতে পারব না ! এ মনের ভাব একদিনে হয় নাই। কত রূপে কত সাজেই যে বন্তপ্রকৃতি আমার মুগ্ধ ভ্যন্ত দৃষ্টির সম্মুখে আসিয়া আমায় ভুলাইল –কত সন্ধা আসিল অপূৰ্ব্ব রক্তমেঘের মুকুট মাথায়, দুপুরের খরতব রৌদ্র আসিল উয়াদিনী ভৈরবীর বেশে, গভীর নিশীথে জ্যোৎস্নাবরণী সুরসুন্দরীর সাজে হিমস্নিগ্ধ বনকুসুমেব সুব’স মাখিয়া, আকাশভরা তারার মালা গলায়— অন্ধকার রজনীতে কালপুরুষের আগুনের খঙ্গ হাতে দিগ্বিদিক ব্যাপিয় বিরাট কালীমূৰ্বতে। 8 একদিনের কথা জীবনে কখনও ভুলিব না। মনে আছে সেদিন দোলপূর্ণিমা। কাছারীর সিপাহীর ছুটি চাহিয়া লইয়া সারাদিন ঢোল বাজাইয়া হোলি থেলিয়াছে। সন্ধ্যার সময়েও নাচগানের বিরাম নাই দেখিয়া আমি নিজের ঘবে টেবিলে আলো জালাইয়া অনেক রাত পর্যন্ত ছেড আপিসের জন্য চিঠিপত্র লিখলাম। কাজ শেষ হটতেই ঘড়ির দিকে চাহিয়া দেখি, রাত প্রায় একটা বাজে। শীতে জমিয়া যাইবার উপক্রম হইয়াছি। একটা সিগারেট ধরাইয়া জানাল দিয়া বাহিরের দিকে উকি মারিয়া মুগ্ধ ও বিস্মিত হইয়া দাডাইয়া রহিলাম। যেজিনিসটা আমাকে মুগ্ধ করিল তাহা পূর্ণিমা-নিশীথনীর অবর্ণনীয় জ্যোৎস্না। হয়তো যতদিন আসিয়াছি, শীতকাল বলিয়া গভীর রাত্রে কখনও বাহিরে আসি নাই কিংবা অন্য যে কোন কারণেই হউক, ফুলকিয়া বইহারের পরিপূর্ণ জ্যোৎস্না-রাত্রির রূপ এই আমি প্রথম দেখিলাম । দরজা খুলিয়া বাহিরে অসিয়া দাড়াইলাম। কেহ কোথাও নাই, সিপাহীরা সারাদিন আমোদ প্রমোদের পবে ক্লান্ত দেহে ঘু ইয়া পডিয়াছে। নিঃশব্দ অরণ ভূমি, নিস্তব্ধ জনহীন zBBBSDS BB BBBBBB BBB BBB S BBBB BBBB BBBBB BBB জীবনে দেখি নাই। এখানে খুব বড় বড় গাছ নাই, ছোটখাট বনবাউ ও কাশবন—তাহাতে তেমন ছায়া হয় না। চকচকে সাদা বালি মিশানো জমি ও শীতের রৌদ্রে অৰ্দ্ধশুস্ক কাশবনে জ্যোৎস্না পড়িয়া এমন এক অপার্থিব সৌন্দর্যোর স্ব ষ্ট করিয়াছে, যাহা দেখিলে মনে কেমন ভয় হয়। মনে কেমন যেন একটা উদাস বাধনহীন মুক্তভাব—মন হু হু করিয়া ওঠে, চারি दि ब्र. 4-२