পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छद्म ७ भृङ्का וישסי যাক, এ অতি সাধারণ কথা। সব জায়গায় সচরাচর ঘটিয়া আসিতেছে, ইহার মধ্যে নূতনত্ব কি আছে! তা নয়। আমার মনের সঙ্গে খুড়ীমার এই ইতিহাসের সম্বন্ধ কিন্তু খুব সাধারণ নয়। আসল কথাটা সেখানেই । বড় তো হইলাম, কলেজে পড়িলাম, কলিকাতায় আসিলাম । বাল্যের কত বন্ধুত্ব, কত গলাগলি ভাব, নূতন বন্ধুলাভের জোরারের মুখে কোথায় মিলাইয়া গেল ! খুড়ীমাকে কিন্তু আমি ভুলিলাম না। এ-খবর কি কেউ জানে, কলেজের ছুটিতে দেশে ফিরিবার সময় নৈহাট কি কাচড়াপাড়া স্টেশনে গাড়ী আসিলেই কতবার ভাবিয়াছি এই সব জায়গায় কোথাও হয়ত খুড়ীমা আছেন। নামিয়া কখনও অনুসন্ধান করি নাই বটে, কিন্তু অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়াই ভাবিয়াছি তার কথা । কলিকাতার কোন কুপল্লীর সহিত র্তাহার কোন যোগ আমি মনেও স্থান দিতে পারি নাই কোনদিন । কেন, তাহ জানি না, বোধ হয় বাল্যে র্কাচড়াপাড়া বা চাকদহে তাহাকে দেখা গিয়াছে বলিয়া যে গুজব রটয়াছিল, তাহা হইতেই ঐ অঞ্চলের সহিত তাহার সম্পর্ক আমার মনে বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছে। কিন্তু কেন নামিয়া কখনও খুজিয়া দেখি নাই, ইহার কারণ আছে। আমার মনে এ-কথা কে যেন বলিত খুড়ীমা বাচিয়া নাই। যে-ভূল তিনি না-বুঝিয়া অল্প বয়সে করিয়া ফেলিয়াছেন, সে-ভুলের বোঝা ভগবান তাহাকে চিরকাল বহিতে দিবেন না, সংসারজ্ঞানানভিজ্ঞ তরুণী খুড়ীমার কাধ হইতে সে বোঝা তিনি নামাইয়া লইয়াছেন। স্কুল-কলেজের যুগও কাটিয়া গেল। বড় হইয়া সংসারী হইলাম। কত নূতন ভালোবাসা, নূতন মুখ, নূতন পরিচয়ের মধ্য দিয়া জীবন চলিল। কত পুরাতন দিনের অতি-মধুর হালি ক্ষীণ স্থতিতে পৰ্য্যবসিত হইল, কত নূতন মুখের নূতন হাসিতে দিনরাত্রি উজ্জল হইয়া উঠিল। জীবনে এ-রকমই হয় । একদিন যাহাকে_না দেখিলে বাচিব না মনে হইত, ধীরে ধীরে সে কোথায় তলাইয়া যায়, হঠাৎ একদিন দেখা গেল তাহার নামটাও আর মনে নাই। Tমনের ইতিহাসের এই ওলটপালটের মধ্য দিয়াও খুড়ীমা কিন্তু টিকিয়া আছেন অনেক দিন। বাল্যে র্তাহার নিকট বিদায় লইবার সময় তাহাকে কখনও ভুলিব না বলিয়া যে আশ্বাস দিয়াছিলাম, বালক-হৃদয়ের সেই সরল সত্য বাণীর মান ভগবানই রাখিয়াছেন। কিলে জানিলাম বলি। আমাদের গ্রাম হইতে খুড়ীমা কতকাল চলিয়া গিয়াছেন। পঙ্গপালও আর কখনও তার পরে আমাদের গ্রামে আসে নাই—কিন্তু রায়েদের সেই নিমগাছটি এখনও আছে। বেশি দিনের কথা নয়—বোধ হয় গত মাঘ মাসের কথা হইবে— রায়েদের বাড়ী জমাজমি সম্পর্কে একটা কাজে গিয়া সীতানাথ রায়ের সঙ্গে একখানা দরকারী দলিলের আলোচনা করিতেছি—হঠাৎ নিমগাছটায় নজর পড়াতে কেমন অন্তমনস্ক হইয়৷ গেলাম। বহুদিন এদিকে আসি নাই। বাল্যের সেই নিমগাছটা। পরক্ষণে দুইটি অদ্ভুক্ত ব্যাপার ঘটিল। ছাব্বিশ বৎসর পূর্বের এক হাস্তমুখী বালিকার কৌতুক ও আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুখ মনে পড়িল এবং নিজের অলক্ষেড়ে মনটা এমন একটা অব্যক্ত দুঃখে ও বিষাদে পূর্ণ হইয়া গেল যে দলিলের অালোচনার কোন উৎসাহই খুজিয়া পাইলাম না, দেখিলাম, খুড়ীমাকে তো दि. ब्र. 6-२२