পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जग्न ७ श्रृङ्गा ●8) র্তাবুতে খবর পাঠাবার অপেক্ষ মাত্র । কানুনগোর সঙ্গে যে আমার মনিবের সম্ভাব নেই, তাও সবাই জানে। খেও কাল থেকে হাত পুড়িয়ে রেখে—এখানে আর বাঙ্গালী রাধুনী মিলছে না। এই কথা যতই ভাবি, ততই ওর উপর করুণ ও অনুকম্প গভীর হয়ে উঠে। সে এক অপূৰ্ব্ব অনুভূতি ! ভগবান আমার বুকে এসে যেন তার আসন পেতেছেন । ওকে আমি ছেড়ে গেলে ওর কত কষ্ট হবে এবং বিশেষ ক'রে লোকটা কি বোকাই বনে যাবে—এই ভেবেই আমার মন গলে গেল। নিজের অপমান ভূলেই গেলাম একেবারে। রাত আটটা যখন বেজেচে, তখন আমি উঠে গিয়ে রান্না চড়িয়ে দিলুম। তার আগেই ঠিক করে ফেলেচি আমি মনিবকে ছেড়ে কোথাও যাব না। ঘোড়ার সইস্ট কিন্তু আড়াল থেকে আমার মার খাওয়াটা দেখেছিল। সে গিয়ে সবাইকে গল্প করেচে। ফলে সকাল থেকে এক হেড, কানুনগোর কাছ থেকেই আমার কাছে পাঁচবার লোক এলো আমায় ভাঙিয়ে নিতে । তিন-চার দিন ধ'রে তারা সবাই আমাকে বিরক্ত করে মারলে। মনিব কাজে বেরিয়ে গেলেই তারা আসে। হেড, কানুনগোর লোক এবং আরও লোক। কতরকম লোভ দেখায়, মনিবের বিরুদ্ধে আমার রাগিয়ে তুলবার চেষ্টা করে। হেড, কানুনগো বাবুর সঙ্গে একদিন পথে দেখা । তিনি ঘোড়ায় চেপে কাজে বেরিয়েছিলেন। আমায় দেখে বললেন-ওহে শোনো, আমার লোক তোমার কাছে গিয়েছিল ? বললুম—মাঙ্গে হ ! —তা তুমি আসতে 'জী হও না কেন ? শুনলাম সেদিন তোমায় মেরেচে। ছিঃ ছিঃ —কি বলে তুমি সেখানকার ভাত এখনও মুখে তুলচে ? চলে এস ওবেলা থেকেই আমার ওখানে ! কি বল ? - আমি বড় বিপদে পড়ে গেলুম। স্বয়ং হেড, কানুনগো বাৰু। তাকে না বলি বা কি করে, এতে আর উড়ে চাকর বা আরদালির দল নয়। হঠাৎ একটা বুদ্ধি মাথায় এল। বললুম —হুজুর, আজই যাব আপনার ওখানে । দেখুন না, মিছিমিছি সেদিন অমনি মার দিলেন— —কি, হয়েছিল কি ? —কিছু না, ওঁর সোনার বোতামের সেটটা আমি মেঝেতে কুড়িয়ে পাই। পেয়ে নিজের বাক্সে তুলে রাখি। ভেবেছিলুম এলে দিয়ে দেব। তারপর আর মনে নেই সন্ধ্যেবেলা । উনি এদিকে পরদিন সকালে বোতাম হারিয়েচে বলে খুব তোলপাড় করচেন বাস। আমি. তখন গিয়েচি দোকানে। সে সময় উনি আমার তোরঙ্গটা খুঁজে বোতাম দেখতে পেয়েছেন uদখানে। তাই আমি দোকানু থেকে আসতেই বললেন–রাৰেল, তুই চুরি করে রেখেছিলি বোতাম তোর বাক্সে। এই বলেই মার। কিন্তু হন্ধুর বাস্তবিক আমি চুরির মত্তলবে→