পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী وان باريا शांत्रि ८वांक्षांहे इहेब देशंब्र ८कांन मण कनिकांज *७, ८कांन मण या ब्रांभाषांऐ, कि গোয়াড়ী কৃষ্ণনগর, কি শাভিপুর হইতে জাঁসিয়াছে।” শহরের মেয়ে, কি সব গহনা ও শাড়ির বাহার, কি রূপ, কি মূখী, যেন এক একজন এক একখানি ছবি ! খোকাটি কেমন চমৎকার হাসিতেছে। কেমন মুন্দর মানাইয়াছে ওই বেগুনী রংয়ের জামাটাতে। তাহার খোকারও অন্নপ্রাশন দিবার কথা ছিল এই মাসে । গরীবের সংসার, থোকার যখন চার মাস বয়স, তখন হইতে ধীরে ধীরে সব যোগাড় করা হইতেছিল। কাপালীর মুম্বরি ও ছোলা দিয়াছিল প্রায় আধ মন, নাড়র চালের জঙ্গ ধান যোগাড় করা হইয়াছিল, সাত-আটখানা খেজুরের গুড় দিয়াছিল বাগদীপাড়ার সকলে মিলিয়। বৃদ্ধ ভুবন মণ্ডল বলিয়াছিল—মুহুরী মশায়, যত তরিতরকারি দরকার হবে, আমার ক্ষেত থেকে নিয়ে যাবেন থোকার ভাতের সময় । এক পয়সা দিত্তে হবে না । কেবল বামুন-বাড়ীর দুটাে পেরসাদ যেন পাই । শূদ্ৰ-ভদ্র সবাই খোকাকে ভালবাসিত। মেজবাবুর খোকার গায়ের রং অনেক কালো তার খোকার তুলনায়। মেজবাৰু নিজে কালো, খোকার খুব ফরসা হইবার কথাও নয়। সুতরাং এদের মানানো শুধু জামায় -গহনায় । তাহার খোকা গরীবের ঘরে আসিয়াছিল। এক জোড়া রূপার মল ছাড়া আর কেশন-কিছু খোকার গায়ে ওঠে নাই । আজ শেষ রাত্রে খোকার সেই হেঁচকীর কষ্টে কাতর কচি মুখখানি, অবাক দৃষ্টি, নিষ্পাপ, কাচের চোখের মতো নিৰ্ম্মল ব্যথাক্লিষ্ট চোখদুটি আহ, মানিক রে! —ও কেশব, বলি হাদেস্তে এখানে সঙের মতো দাড়িয়ে আছ যে ! বেশ লোক যা হোক। ব্রাহ্মণদের পাতা করবার সময় হ’ল, সামিয়ানা খাটাবার ব্যবস্থা কর গে। আমি তোমায় খুঁজে বেড়াচ্ছি চোদভূবন, আর তুমি এখানে, বেশ নম্বুরী নোটখানি বাবা ! পা চালিয়ে দেখ গিয়ে— নবীন সরকার । কিন্তু, নবীন সরকার তো জানে না . সে কি একবার বলিবে ? ও গোমস্ত মশায়, এই আমার খোকা আজ সকালে.... ও রকম ক’রে আমার ডাকবেন না...আমার মনটা আজ ভাল না . দলে দলে নিমন্ত্রিত ব্রাহ্মণের আসিতে আরম্ভ করিয়াছে নানা গ্রাম হইতে। এগারোখানা গা লইয়া সমাজ, সমাজের সকলেই নিমন্ত্রিত। বড় বৈঠকখানায় লোক ধরিল না, শেষে লিচুতলায় প্রকাও শতরঞ্জ পাতিয়া দেওয়া হইল। আসরের মধ্যে দাড়াইয়া দেউলে সরাবপুরের বরা বাড়য্যে মশায় বলিলেন—একটা কথা আমার আছে। এ গারে হারাণ চকোভি সমাজে একঘরে, তাদের বাড়ীর কারুর কি নেমস্তন্ন হয়েচে আজ কাজের বাড়ীতে ? যদি হয়ে থাকে বা তাদের বাড়ীর কেউ যদি এ বাড়ীতে আজ এসে থাকেন, তবে আমি অন্ততঃ দেউলে সরাবপুরের ব্রাহ্মণদের তরফ থেকে বলচি যে, আমরা এখানে কেউ জলস্পর্শ করব না। আরও দু' পাঁচখানা গ্রামের লোকেরা সমস্বরে এ কথা সমর্থন করিল। অনেকে আবার