পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্ম ও মৃত্যু כשסי এবার ডেকে নিয়ে যাবে। আমার কথা ঠিক হইল। একটু পরেই ছেলেটি দরজা খুলির বলিল, আমুন ভেতরে। * ছোট একটা ঘরে তক্তাপোশের উপর আমরা বসিলাম। একটু পরে ভিতরের দরজা ঠেলিয়া একজন বৃদ্ধ প্রবেশ করিল। কিশোরী উঠিয় দাড়াইয়া হাত জোড় করিয়া প্ৰণাম করিয়া বলিল—পণ্ডিতমশায় আমুন। বৃদ্ধের বয়স বাট-বাষ্ট্রর বেশি হইবে না। রং টকটকে গৌরবর্ণ, এ-বয়সেও গায়ের রঙের জৌলুস আছে। মাথায় চুল প্রায় সব উঠিয়া গিয়াছে। মুখের ভাবে ধূৰ্ত্তত ও বুদ্ধিমত্তা মেশানো, নিচের চোয়ালের গড়ন দৃঢ়তাব্যঞ্জক। চোখ দুটি বড় বড়, উজ্জল। জ্যোতিষীর মুখ দেখিয়া আমার লর্ড রেডিঙের চেহারা মনে পড়িল—উভয় মুখাবয়বের আশ্চৰ্য্য সোসাদৃত আছে। কেবল লর্ড রেডিঙের মুখে আত্মপ্রত্যয়ের ভাব আরও অনেক বেশি। আর ইহার চোখের কোণের কুঞ্চিত রেখাবলীর মধ্যে একটু ভরসা-হারানোর ভাব পরিস্ফুট। অর্থাৎ যতটা ভরসা লইয়া জীবনে নামিয়াছিলেন, এখন তাহার যেন অনেকখানিই হারাইয়া গিয়াছে, এই ধরনের একটা ভাব। প্রথমে আমিই হাত দেখাইলাম। বৃদ্ধ নিবিষ্টমনে থানিকট দেখিয়া আমার মুখের দিকে চাহিয়া বলিল—আপনার জন্মদিন পনেরই শ্রাবণ, তের-শ পাচ সাল। ঠিক ? আপনার বিবাহ হয়েছে ভের-শ সাতাশ সাল, ঐ পনেরই শ্রাবণ | ঠিক ? কিন্তু জন্মমাসে বিয়ে তো হয় না , আপনার হ’ল কেমন ক’রে এরকম তো দেখি নি। কথাটা খুব ঠিক। বিশেষ করিয়া আমার দিনটা মনে ছিল এইজন্ত যে, আমার জন্মদিন ও বিবাহের দিন একই হওয়াতে বিবাহের সময় ইহা লইয়া বেশ একটু গোলমাল হইয়াছিল। তাঁরানাথ জ্যোতিৰী নিশ্চয়ই তাহ জানে না, সে আমাকে কখনও দেখে নাই, আমার বন্ধু কিশোরী সেনও জানে নী—তাঁর সঙ্গে আলাপ মোটে দু-বছরের, তাও এক ব্রিজ খেলার আড্ডায়, সেখানে ঘনিষ্ঠ সাংসারিক কথাবাৰ্ত্তার কোন অবকাশ ছিল না। তারপর বৃদ্ধ বলিল—আপনার দুই ছেলে, এক মেয়ে। আপনার স্ত্রীর শরীর বর্তমানে বড় খারাপ যাচ্ছে। ছেলেবেলায় আপনি একবার গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন কিংবা জলে ডুবে গিয়েছিলেন—মোটের উপর আপনার মন্ত বড় ফাড় গিয়েছিল, তের বছর বয়সে। कथां गदहे ठेिक । ८णांकछैॉब्र किडू क्रमउ श्रां८छ् ८नथिएउझेि । हठां९ उांब्रांनांश दणिण বর্তমানে আপনার বড় মানসিক কষ্ট যাচ্ছে, কিছু অর্থনষ্ট হয়েছে। সে টাকা আর পাৰেন না, বরং আরও কিছু ক্ষতিযোগ আছে। আমি আশ্চৰ্য্য হইয়া উহার মুখের দিকে চাহিলাম। মাত্র দু-দিন আগে কলুটোলা স্ট্রীটের মোড়ে ট্রাম হইতে নামিবার সময় পাচখানা নোটমৃদ্ধ . মনিব্যাগটি খোয়া গিয়াছে। লজ্জায় পড়ির কথাটা কাহাকেও প্রকাশ করি নাই। তারানাথ বোধ হয় খট-রীডিং জানে। কিন্তু আরও ক্ষতি হইবে তাহা কেমন করিয়া বলিতেছে ? এটুকু বোধ হয় ধাপ্পা। যাই হোক, সাধারণ হাতদেখা গণকের মতো মন বুৰিয়া শুধু মিষ্টি মিষ্টি কথাই বলে না।