পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उं ७ श्रृङ्क శ్రీyళి বিশ্বাস নেই। সেদিন চলে এলাম, কিন্তু আবার গেলাম তার পরদিন । পাগল বললে—আবার কেন এলি ? বললাম—ম, আমাকে দয়া কর— পাগলী বললে—দূর হ—দূর হ, বেরো এখান থেকে— তারপর রেগে আমার মারলে এক লাথি। বললে—ফের যদি আসিস, তবে বিপদে পড়বি, খুব সাবধান । রাত্রে শুয়ে শুয়ে ভাবলাম, না, এখান থেকে চলে যাই, আর এখানে নয়। কি এক পাগলের পাল্লায় পড়ে প্রাণটা যাবে দেখছি কোনদিন । শেষ রাত্রে স্বপ্ন দেখলাম পাগলী এসে যেন আমার সামনে দাড়িয়েছে, সে চেহারা আর নেই, মৃদু হাসি-হাসি মুখ আমায় যেন বললে – লাথিটা খুব লেগেছে না রে ? তা রাগ করিস নে, কাল যাস আমার ওখানে। সকালে উঠেই আবার গেলাম। ও মা, স্বপ্ন-টপু সব মিথ্যে পাগলী আমার দেখে মারমূৰ্ত্তি হয়ে শ্মশানের একখানা পোড-কাঠ আমার দিকে ছড়ে মারলে। আমিও তখন মরিয়া হয়েছি, বললাম—তুমি তবে রাত্রে আমার বলতে গিয়েছিলে কেন স্বপ্নে ? তুমিই তো আসতে বললে তাই এলাম। পাগলী খিলখিল করে হেসে উঠল—তোকে বলতে গিয়েছিলাম স্বপ্নে। তোর মুণ্ডু চিবিয়ে খেতে গিয়েছিলাম । হি—হি—হি—যা বেরো— কেন জানি না, এই পাগলী আমাকে অদ্ভুত ভাবে আকৃষ্ট করেছে, আমি বুঝলাম তখনি সেখানে দাড়িয়ে । এ যতই আমাকে বাইরে তাড়িয়ে দেবার ভান করুক, আমার মনে হ’ল ভেতরে ভেতরে এ আমার এক অজ্ঞাত শক্তির বলে টানছে । হঠাৎ সে বললে—বোস থানে । আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলে, তার আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেবার ভঙ্গিটা যেন খুব রাজাজমিদারের ঘরের কত্রীর মতো–তার সে হুকুম পালন না করে যে উপায় নেই। কাজেই বসতে হ’ল । - সে বললে—কেন এখানে এসে বিরক্ত করি বল ত ? তোর দ্বারা কি হবে, কিছু হবে না। তোর সংসারে এখনও পুরো ভোগ রয়েছে। আমি চুপ করেই থাকি। খানিকটা বাদে পাগলী বললে—আচ্ছা কিছু খাবি ? আমার এখানে যখন এসেছিল, তার ওপর আবার বামুন, তখন কিছু খাওয়ান দরকার। বল কি খাবি ? পাগলীর শক্তি কত দূর দেখবার জন্ত বড় কৌতুহল হ'ল। এর আগে লোকের মুখে শুনে এসেছি, যা চাওয়া যায় সাধু সন্ন্যাসীরা এনে দিতে পারে। কলকাতায় গন্ধ-বাবাজীর কাছে খানিকট যদিও দেখেছি, সে আমার ততটা আশ্চৰ্য্য বলে মনে হয় নি। বললাম— খাব অমৃতি, জিলিপি, ক্ষীরের বরফি, আর মৰ্ত্তমান কলা। পাগলী এক আশ্চৰ্য্য ব্যাপার করলে। শ্মশানের কতকগুলো পোন্ডাকয়লা পাশেই পড়েছিল, হাতে তুলে নিয়ে বললে— এই নে খা, ক্ষীরের বরক্ষি—