পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छद्म ९ श्रृङ्क \రిన్స(t যেন এক বিকটমূৰ্ত্তি নারী উন্মাদিনীর মতো আলুর্থালু বেশে নেমে আসছে দেখলাম। সঙ্গে সঙ্গে চার পাশের বনে শেয়ালের দল আবার ডেকে উঠল, বিত্র মড়া পচার দুর্গন্ধে চারদিক পূর্ণ হ’ল, পেছনের আকাশটা আগুনের মতে রাঙা-মেঘে ছেয়ে গেল, তার নিচে চিল, শকুনি উড়ছে সেই গভীর রাত্রে ! শেয়ালের চিৎকার ও নরকঙ্কালের ঠোকাঠুকি শব্দ ছাড়া সেই ভয়ানক রাতে বাকি সব জগৎ নিস্তব্ধ, স্বষ্টি নিঝুম ! আমার গা শিউরে উঠল আতঙ্কে । পিশাচীটা আমার দিকেই যেন ছুটে আসছে! তার আগুনের ভাটার মতো জলন্ত জু-চোখ ঘৃণা, নিষ্ঠুরতা ও বিদ্রুপ মেশানে, সে কি ভীষণ ক্রুর দৃষ্টি ! সে পূতিগন্ধ, সে শেয়ালের ডাক, সে আগুন-রাঙা মেঘের সঙ্গে পিশাচীর সেই দৃষ্টিট মিশে গিয়েছে একই উদেখে—সকলেই তারা আমায় নিষ্ঠুর ভাবে হত্য করতে চায় । যে শবটার ওপর বসে আছি—সে শবটা চিৎকার করে কেঁদে উঠে বললে—অষায় উদ্ধার কর, রোজ রাত্রে এমনি হয়—আমার খুন ক’রে মেরে ফেলেছে বলে আমার গতি হয় নি—আমায় উদ্ধার কর । কতকাল আছি এই শ্মশানে! ছাপ্পান্ন বছর কাকেই বা বলি? কেউ দেখে না । ভয়ে দিশহারা হয়ে আমি আসন ছেডে উঠে দৌড় দিলাম। তখন পুবে ফরসা হয়ে এসেছে । 4 বোধ হয় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। জ্ঞান হ’লে চেয়ে দেখি আমার সামনে সেই পাগলী বসে মৃদু মৃদ্ধ ব্যঙ্গের হাসি হাসছে “সেই বটতলায় আমি আর পাগলী দু-জনে। পাগলী বললে—যা তোর দৌড় বোঝা গিয়েছে। আসন ছেডে পালিয়েছিলি না ? আমার শরীর তখনও মিমঝিম করছে। বললুম-কিন্তু আমি ওদের দেখেছি। তুমি যে ষোড়শী মহাবিদ্যার কথা বলতে, তিনিই এসেছিলেন । পাগলী মুখ টিপে হেসে বললে—তাই তুই ষোড়শীর রূপ দেখে মন্ত্রজপ ছেড়ে দিলি। দুর, ওসব হাকিনীদের মায়া। ওরা সাধনার বাধা । তুই ষোড়শীকে চিনি না, শ্ৰীষোড়শী সাক্ষাৎ ব্ৰহ্মশক্তি । এবং দেবী ত্রাক্ষী তু মহাষোড়শী সুন্দরী। ক’হাদি সাধনা ভিন্ন তিনি প্রকট হন না। ক‘হাদি উচ্চতন্ত্রের সাধনা ! তুই তার জানিস্ কি ? ওসব মায়া । আমি সন্দিগ্ধমুরে বললাম—তিনি অনেক কথা বলেছিলেন যে! আরও এক বিকটমূৰ্ত্তি, পিশাচীর মতো চেহারা নারী দেখেছি। আমার মাথার ঠিক ছিল না ; তার পরেই মনে পড়ল, পাগলীর কথাও কি একটা তার সঙ্গে যেন হয়েছিল—কি সেটা ? পাগলী বললে, তোর ভাগ্য ভালো। শেষকালে যে বিকটমূৰ্ত্তি মেয়ে দেখেছিল, তিনি