পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে 8)ఏ বাবু এসে দাড়িয়ে বললেন, অপেনাকে একবার নামতে হচ্ছে । —কিন্তু বড় দেরি হয়ে যাবে, চাইবাস। পৌছুতে। —তা হোক, সামান্ত একটু চায়ের ব্যবস্থা— কি করি, নামতেই হোল! মাঝারি আকারের বাংলো, চারিদিকে ঘোরানো বারান্দা। ভদ্রলোকটির বাড়ী বাকুড়া জেলায় ; এখানে পি. ডব্লিউ. ডি-তে চাকুরী করেন। -কতদিন আছেন ? — তা প্রায় দু বছর— —কেমন লাগে ? —আমি এক রকম যা হয় করে থাকি, কাজে পাচ জায়গায় ঘুরি, কিন্তু বাড়ীর মেয়েদের वप्ल कहे । 够 استسسfic fه إكسس. —এ গ্রামের কথা বাদ দিন। এখানকার মেয়েদের সঙ্গে খাপ খায় না—বাঙালীর মেয়ে অন্য বাঙালী মেয়ের মুখ না দেখলে ছাপিয়ে ওঠে, তাঁদের হয়েছে সত্যিকারের বনবাস। –কিন্তু স্লিমারি বেশ, কিল্পলেন? —সে আপনাদেব চোখে হয়তো লাগতে পারে। আমাদের মন স্থাপিয়ে ওঠে— মেয়েদের হাতে ধত্বে সাজানে রেকাবে জলখাবার ও চা এল । আমরা সেগুলির সদ্ব্যবহার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। বাবুটির কথা শুনে গৃহলক্ষ্মীদের জন্যে সত্যিই মনে কষ্ট অস্থম্ভব করছিলুম, এ যেন সেই আরিজোনার মরুভূমির মত রুক্ষদর্শন ভূভাগ-কালে কালো অনাবৃত পাহাড়, টিলা, উন্মুক্ত দিকচক্রবাল, এখানে মেয়েদের মন ইপিয়ে ওঠবার কথা বটে। ভদ্রলোকের কাছে বিদ।. নিয়ে তার আতিথেয়তার জন্তে যথেষ্ট ধন্যবাদ দিয়ে আমরা গাড়ীতে উঠলুম। আরও মাইল দশ-বারো গিয়ে খড়কাই নদী। নদী পার হয়ে মোটর থামিয়ে সেই নির্জন বালুকাস্তৃত নদীচরে অস্পষ্ট সন্ধ্যার অন্ধকারে কিছুক্ষণ দাড়াই । . দূরে একটা পাহাড়, সামনে কটা রংএর বালুরাশির মধ্যে নাতিগভীর খাত স্থষ্টি করে ক্ষীণকায়া, খড়কাই বয়ে চলেছে। কেমন একটি উদাস শোভা এই জনহীন প্রাস্তরের, এই পাৰ্ব্বত্য তটিনীর, রহস্যময়ী সন্ধ্যার । চাইবাসা পৌঁছে গেলাম রাত আটটার মধ্যে। সভার কাজকৰ্ম্ম পরদিন মিটে গেল । ওখানকার বন্ধুরা তখনও ছাড়তে চান না । দুজন ফরেস্ট-অফিসারের সঙ্গে যথেষ্ট আলাপ হয়ে গেল। তারা বললেন--আপনি বনের কথা লিখেছেন অনেক, কিন্তু সিংস্থূমের বন আপনি দেখেন নি— আমি বললাম—কেন, অনেক বন তো দেখা গেল— র্তারা মৃদ্ধ মুছ হাসলেন। বললেন—আমরা ফরেস্ট-অফিসার হয়ে বন দেখি নি, আর আপনি বন দেখেছেন ? হোতেই পারে না। —কোন বনের কথা বলছেন ?