পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२७ বিভূতি-রচনাবলী r—আরও জঙ্গলের মধ্যে । —এর মালিক কে ? –এও দেবীপ্রসাদ মাড়োয়ারীর। বনের মধ্যে খনির কাছেই এর বাস। আর জাপিস अॉ८छ्.। ८गथांप्न छू-ङिम खन वांडांजौबांबू —খাত লিখছে— - Ցյլ আবার মোটরে এসে উঠলুম। বন ছাড়িয়ে উচুনীচু মাঠ, মাঠ ছাড়িয়ে আবার ছোটােখাটো বন, আবার মাঠ, মাঝে মাঝে পাথর ছড়ানো হো-গ্রাম। ফিল্মের ছবির মত স্বন্দর এই বন্ত গ্রামগুলি। কালে মাটির দেওয়াল দেওয়া ছোট নীচু ঘরগুলি, চালায় চালায় বসতি। এরা ফাক র্যপক ভাবে বাড়ী তৈরী করতে জানে না ; এক বৃষ্ট্ৰিীৱ ষ্ট্রেওয়ালের গায়ে অন্য গৃহস্থ চালা বসিয়েচে অন্যদিকে। বড় বড় পাথর ছড়িয়ে-পড়ে আছে চারিদিকে-বোধহয় সেগুলো পারিবারিক সমাধি বা দেবদেবীর স্বান , শ্ৰত্যেকহে ধন্থ এয়েই এমন পাথর ছড়ানো দেখেছি—মোটা মোট পাথর ডালমের বা মেনহিরের ধরণে খুড়ি করে পোতা— তাদের গায়ে হিন্দিতে কি লেখাও আছে । একখানা পাথরের গায়ে লেখা— - বনটু মালাইয়ের পুত্র অস্থিক মালাই। ঘর-বনটুডি জিলা-সিংস্থূম জিজ্ঞেস করলুম—কাকে অমর করবার ব্যবস্থা এ ? মিঃ সিংহ বললেন- কেন বনটু মালাইয়ের পুত্র অস্থিক মালাইকে। —তার কি হয়েছে ? — সে মারা গিয়েচে । স্থাবার ফিরলাম বামিয়াবুরু বাংলোতে। সন্ধ্যা তখন হয় হয়.। পরদিন বামিয়াবুরু বনের মধ্যে বেড়াতে বার হওয়া ঠিক হয়েচে, আমরা একটু বেশী রাত্রে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম । অন্ধকার রাত্রি ; আমার চক্ষে ঘুম নেই, এমন বিশাল অরণ্যের মধ্যে কখনো রাত কাটাই নি। বসে বসে দেখছিলাম বাংলোকে ঘিরে চারিধারে শুধু বন আর পাহাড়, পনেরশে৷ ফুট উচু পাহাড়ের চূড়ায় আমাদের এই বাংলো, সুতরাং এখান থেকে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে ছোট বড় পৰ্ব্বতশিখর, আবছায়া অন্ধকারে ম্বের । যোগীন্দ্র সিংহ বন বিভাগের কর্মচারী বলেই যে বনত্ৰ ভালোবাসেন তা নয়—তেমন যোগাযোগটি সব সময় ঘটে না-ভাবুক লোক। অন্ধকারমন্ত্রী রজনীর রূপ দেখবার জন্তে তিনিও আমার সঙ্গে জেগে বসে আছেন বাইরে । কিসের একটা স্বগন্ধ বাতাসে। সিংহ বললেন—পাচ্ছেন গন্ধটা ?