পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8WOe বিভূতি-রচনাবলী বাবার কোন আপত্তি ছিল না, কিন্তু পাচ মাইল কি যাওয়া যাবে হেঁটে সন্ত্রীক ? উনি সঙ্গে মা থাকলে কোন কথা ছিল না । দেখি কত দূর কি হয়। বে নালার ধার দিয়ে দিয়ে আমরা যাচ্ছি, সে নালাটির কালো জলে বিশাল বনম্পতিশ্রেণীর ছায় । এক জায়গায় খুব বড় কনটুর ট্রেঞ্চ, এখন জল নেই—বর্ষাকালে এর মধ্যে জল জমে বনভূমিকে আর্দ্র করে, মাটিকে সরস করে। বর্তমান অবস্থা দেখলে সে কথা বিশ্বাস করা শক্ত । এইবার আমরা বনের উচুদিকে যাচ্ছি মনে হোল। কারণ লম্বা লম্বা ঘাস দেখা গেল এবার। ভূমি যেখানে অপেক্ষাকৃত নীরস ও পাষাণময়, সেখানে নাকি ঘাস দেখা যায় বনে । ७ श्रृंद्भtsीव्र घॉज श्रांङ्ग ८कांथांe छनूtञ्च मी । একজন ফরস্ট গার্ড কি ধরনের এক পাতা তুলে নিয়ে-এশ গুনলাম, এ পাতা দিয়ে বনের লোকের দিব্যি চাটনি তৈরী করে খায়। আমার স্ত্রী বললেন—কি করে চাটনি তৈরি হয়? · —শুধু বেটে একটু স্থন দিয়ে খেলেই হোল । পুলির মত । বেল প্রায় দশট। ঘডি দেখে সেটা বোঝা গেল বটে, কিন্তু এই বনের মধ্যে থেকে তা কিছুই বোঝবার জো নেই। রোদুর পড়ে নি মাটিতে বিশেষ কোথাও। ঘাস পাতা এখনও শিশিরাঞ্জ । আমি বললাম-আপনার বাঘের ভয় করেন না ? মি: সিংহ বললেন—করলে আমাদের কাজ চলে না । — বাঘের সামনে পড়েছেন কখনো ? —দু-তিন বার। একবার মোটর ড্রাইভ করে ফিরছি পাটনা থেকে, গভীর রাত্রে কোডার্মার জলে প্রকাও রয়েল-বেঙ্গল-টাইগার একেবারে গাড়ীর পাশে। —পাশে ? —স্থ্যা, রাস্তার পাশে । একটা প্রকাও সম্বর হরিণ মেকে তাকে খাচ্ছে । —আপনি কি করলেন ? —কি আর করব। হেড লাইটের আলো পড়তে আমি ওটাকে দেখতে পেলাম, তারপর ভয় হোল গাড়ীর ওপর লাফিয়ে না পড়ে। হরদয়াল সিং বললেন—আমি একবার বুনো হাতীর পাল্লায় পড়েছিলাম। একটা পাহাড়ের ঢালু দিয়ে সাইকেলে নামচি, একদল বুনো হাতী বনের মধ্যে দাড়িয়ে কান নাড়ছে। বাঘের চেয়ে বুনো হাতী বেশী বিপজ্জনক—সোজা সাইকেল চালিয়ে দিলাম, পেছন দিকে श्रांद्र कोहेजांभ मे! । '? আমার স্ত্রী বললেন—এ বনে বাম্ব আছে ? —বড় বাঘ বিশেষ নেই! অন্ত সব জানোয়ারই আছে। তবে বনকে বিশ্বাস নেই खांनtदन ।