পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে 883 লড়াইয়েমোরগের ঝটপট দেখচে, টুপটাপ মহুয়ার ফুল ঝরে পড়চে ওদের মাথার আশে পাশে, সামনে দূরে নীল শৈলমাল . छौदह्मव्र ग८िॐ श्रांमम-भूडूé । এদের সৌন্দৰ্য্যপ্রিয়তা ও আমোদপ্রিয়তা লক্ষ্য করবার বিষয় বটে। s কি জানি হয়তো চক্ৰধরপুরের নিকটবৰ্ত্তী অরণ্যে শৃঙ্গানপুরের গিরিগুহার চিত্রাবলী এদের পূৰ্ব্বপুরুষেরা একেছিল কোন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ! আমার স্ত্রী নারীসুলভ বস্তুপ্রিয়ভ প্রদর্শন করে বললেন—একখানা নকৃশা করা চাদর কিনবো— \ আমি চাদর ক্রয়ের বিরুদ্ধে বহু যুক্তি দেখালুম অবিপ্তি, কিন্তু কিছুই খাটলে না। আবার আমরা পথে বেরুই। এবার কি বেজায় লো শুরু হোল। ইয়ারিংয়ের তলাকার কোন ফার্ক দিয়ে ফোয়ার থেকে জল বেরুবার মত ধুলো ঢুকতে লাগলো। আর একটা বন্যগ্রাম ও পথের পাশে তাদের মৃতদের উদ্দেশে প্রোথিত প্রস্তররাজি । এইগুলো যেখানেই দেখি, সেখানে প্রায়ই থাকে একটা প্রাচীন বট বা মহুয়া গাছ। পাহাড়ের পাশে যদি হয় মনে কেমন এক অদ্ভুত ছন্নছাড়া ভাব নিয়ে আসে। এমনি এক সমাধি স্থানের বর্ণনা করেছি আমার লেখা আরণ্যক’-এ। সে স্থান গুর জেলার প্রাস্তে, দক্ষিণ-বিহারের শৈলমালার নিবিড়তম অভ্যস্তরে অবস্থিত—অথচ আজ সেই সব দৃশ্বের কথাই আমার মনে আবার নিয়ে আসে এই বন্তগ্রাম ও এদের সমাধি প্রস্তরের চৌরস সারি । তিনটি বন্তগ্রাম পার হয়ে তবে চিটিমিটি। গ্রামগুলির নাম ও ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে আমার স্ত্রী একটি ছড়া তৈলী করলেন— আগে হোল পেটাপেটি বঁাকে, রুয়াউলি, করস্ফুলি তারপর চিটিমিটি— এর কবিত্ব প্রশংসনীয় না হোলেও, নামগুলো মনে রাখার স্ববিধে হয়। যেমন মুখস্থ করেছিলুম কোন ছেলেবেলায়— ষোলশ সাতাশ আবে জাহাঙ্গীর ম’ল সাজাহান ভারতের বাদশাহ হোল— এখন কত উপকার দেয় ! - বেলা চলে যাচ্চে, এমন সময় উপরোক্ত ছড়ার প্রথম গ্রামটির মধ্যে গাড়ী ঢুকলো। এবার ধূলো-ভরা রাস্তা ছেড়ে পাহাড়ের পথে উঠটি, একটা পাহাড়ের ওপারেই পেটাপেট গ্রাম । এখানে যদি বা বাড়ী করে বাস বারবার লোভ সম্বরণ করা চলে, কিন্তু পরবর্তী তিনখানি গ্রামের অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃপ্ত মানুষকে সভ্য জগতের কথা একেবারে ভুলিয়ে দেয় ! আমি এই সময় মিঃ সিংহকে জিজ্ঞেস করলুম—আপনার চাকরী জীবনের প্রথম দিনের