পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 o বিভূতি-রচনাবলী উস্থরিয়া পাহাড়ী নদী। খুব শব্দ করে বয়ে যাচ্ছে বনের মধ্যে দিয়ে—দুদিকে পাষাণময় উচু উীর। শিলাতটে প্রতিহত হচ্চে উহুরিয়া ঝর্ণার নির্মল জলধারা। অপরায়ের ছায়া পড়ে এসেচে, হলদে রোদ উঠেচে গগনচুম্বী তরুশ্রেণীর শীর্ষদেশে। কতক্ষণ নদীর তীরে শিলাসনে বসে রইলুম । উমুরিয়ার কুলুকুলু শব্দ যেন এই বনজীর অনস্ত সঙ্গীত । মি সিংহ দেখে এসে বললেন—গ্রেগরির বাংলোর চিহ্ন নেই, সেখানে ঘোর বন। --গ্রেগরি কি করতে এখানে ? —কোম্পানী করাতের কারখানা ছিল উহরিয়ায় পড়ে। সাহেব ছিল কারখানার ম্যানেজার। —কারখানা উঠে গেল কেন ? —ঠিক জানি নে। শুধু সাহেবের বাংলো নয়, কুলিদের ব্যারাক ছিল, কারখানা ঘর ছিল। দখচি কিছুরই চিহ্ন নেই। Ed৯২৫ সালের পর এই প্রথম এলেন ১৯৪৩ সালে ?

  • -তাই। উনিশ বছর পরে।

—পুরা যত্র স্রোতঃ” কালিদাসের সেই শ্লোক জানেন তো ? নগরী হচুে ৰুবন হচ্চে নগরী । কালিদাসের কালেও তো এমন ধারাই ঘটতে। আজ দেখচেম পৃেংসায় বি. টি. টি. কোম্পানীর আপিস, মি লক্নার তার বড় সাহেব। দু-দিন পরে সব জঙ্গল হয়ে যাবে, বুর্মে হাতীর ভয়ে দিনমানে মোটর চালানো দুষ্কর হবে। ” এইভাবে সেদিন আমি মিঃ সিংহের গল্পে বর্ণিত পথ নিজের চোখে দেখেছিলুম। কিন্তু আমি সারাণ্ড ফরেস্টের গল্প বলতে বসি নি, বলছিলাম চিটিমিটি থেকে আমাদের চাইবাসী ফিরবার গল্প । সেই গল্পই আবার আরম্ভ করিT গাছতলা থেকে চা খেয়ে ও মি: निर्भरैव গল্প শুনে উঠে দেখি রাত অন্ধকার, গভীর অন্ধকার। বন্ধহস্তীর ভয়ে সেই পাৰ্ব্বত্যপথে সাবধানে গাড়ী চালিয়ে আমরা বরকেলা শৈলমাল থেকে ধীরে ধীরে নেমে সমতলভূমির পথে নামলুম। সৈদব৷ কলি আমাদের ডানদিকে। এবার আর পথের ধারে গভীর খাদ নেই, সুতরাং নিরাপদ পথে দ্রুত ছুটলো মোটর। মি: হরদয়াল দি বললেন—ঐ সামনেই রাচি রোভূ একটু পরেই আমরা পিচঢালা চণ্ডড়া রুচি রোডে এসে উঠলাম। চল্লিশ মিনিটের মধ্যে বোরো নদীর সেতু পার হয়ে চাইৰাম টাউনে প্রবেশ করলুম-রতি তখন দশটা—এ কথা আগেই বলেছি, - *... • চাইবাসা ফিরে ঠিক করা গেল পরদিনই আমরা জয়ন্তগড় ও চম্পুয়া যাবে এবং বৈতরণী নদীর ধারে মাঠে ও বনে হবে আমাদের নিকৃপিক্‌ ! প্রসঙ্গক্রমে বলা যেতে পারে যে, যে বনভোজনে বাড়ী থেকে তৈরি খাবার নিয়ে গিয়ে খাওয়া হয় তার নাম হোল নিকৃপিকৃ—