পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে ‘840 -छ् ! মিঃ সিংহের দিকে চেয়ে বলি—কাঠ কোথায় পাওয়া যাবে ? মিঃ সিংহ স্থবোধের দিকে চেয়ে বললেন—কাঠ কোথায় পাওয়া যাবে ? . স্থবোধ ছেলেটির দিকে চেয়ে কড়া স্বরে হেঁকে বললে—কাঠ নেই বলে দিগে যা— আমি বললাম—তা হোলে চা-ও থাকবে পড়ে। মেয়েরা কাঠ যোগাড় করবে কোখেকে ? একটু পরে ছেলেটি আবার ফিরে এসে বললে—ম বললে কাঠ না পেলে চা হবে না— আমি সংক্ষেপে বললাম—খুব লজিক্যাল কথা । স্ববোধ চটে উঠে বললে-তৃবে ব্যবস্থা করুন। –সবাই মিলে কাঠ কুডুতে ধাই চলুন। মিঃ সিংহ বললেন—খুব স্তাষ্য কথা ! } নিরুপায় হয়ে বললে –ড়াইভারকে ভেকে বলে দিই কাঠwজার্মতে। আমি বলি—অভাবে শুকনো খড়। চমৎকার নিকৃপিক্‌ ঘটে গেল জয়ন্তগড়ের ডাকবাংলোর সামনের মাঠে বৈতরণীর তীরে। প্রচুর জলখাবার, তার সঙ্গে গরম চা । শীত পড়েছিল, আমরা বেলা সাড়ে চারটের সময় মোটরে উঠলুম আবার। বেশী দেরি করা উচিত হবে না। মাইল সাঁতেক গিয়ে একটা চীনেমাটির খনি। ধনী মালিকের প্রাসাদোপম বাসগৃহ কারখানা ও আপিস ঘরের হাতায় । আমরা গিয়েছি শুনে ম্যানেজার নিজে এসে কারখানা দেখাতে নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে পরীক্ষাগারে নিয়ে গেলেন। এই মাটি দিয়ে চায়ের ডিশ পেয়ালা তৈরির পরীক্ষা চলছে সেখানে । श्रांमि वृजजांश-भांजिक ८काँश्वांग्न থাকেন, —ওঁর দেশ গোয়ালিয়র, তবে টাইlাসাতে বাড়ী আছে । —ভাল কাজ চলছে ? —কাজ দশগুণ বেড়ে গিয়েছে যুদ্ধের দরুন। গভর্নমেন্ট থেকে বহু চায়ের ভিশ পেয়ালার অর্ডার পেয়েছি । - —ডিশ পেয়ালা হচ্ছে ভালো ? ' —পরীক্ষা চলছে, এখন যা হচ্ছে তা ভেঙ্গে যায় সহজে । –এ মাটিতে টেকসই হবে ? 莎° —নিশ্চয়ই। মাস দুইয়ের মধ্যে আমরা গভর্নমেন্টের অর্ডারে হাত দিতে পারবো। র্তার অনুরোধে আমরা মালিকের প্রাসাদের ছাদে উঠে চারিদিকের দৃপ্ত দেখতে লাগলাম। তখন স্বৰ্য্য অস্ত যাচ্চে দূরে গুয়া আর নোয়ামুণ্ডি পাহাড়-জঙ্গলের পেছনে। পশ্চিম দিগন্তের রক্তাভ আকাশপটে এই নীল অরণ্যানীর দৃপ্ত যেন ছবির মত আঁকা । সেই মুক্ত প্রাস্তরের মধ্যে ধনী মালিকের শ্বেত প্রাসাদটি যেন অবাস্তব বলে মনে হচ্ছিল। যেখানে আশেপাশে