পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে 8や〉 স্ববোই চালাচ্ছিল, মি: সিংহ বললেন-জ্ঞে আর বিশ্বাস নেই এই পাহাড়ী রাস্তার, ঘুমকাতুরে চোখে খাদের মধ্যে ফেলে দেবে। সঞ্জোমার হাতে স্ট্রয়ারিং দাও রাত শেল হয়ে আসচে। সেই গভীর গিরিবনে হেমন্ত রাত্রির কুয়াশা হঠাৎ ঘনিয়ে আসতেই কেউ আর কিছু দেখতে পায় না । মিঃ সিংহ ভরসা করে গাড়ী জোরে চালাতে পারলেন না। চক্ষের নিমেষে কুয়াশা নেমে চারিধার ঢেকে ফেলেচে, পাহাড় দেখা যায় না, জঙ্গলের গাছপালাও খুব স্পষ্ট নয়। সামনে পিছনে সব যেন ঘষা-পয়সার মত লেপে মুছে একাকার হয়ে গেল ! সস্তৃপণে গাড়ী চালাতে লাগলেন মিঃ সিংহ। একটু অসাবধানে গাড়ী চালালে পাহাড়ে ৰাষ্টীলেগে মোটর চুরমার হয়ে যাবার ভয় । এমুন সময় পূরেশবাৰু চেচিয়ে উঠে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলতে লাগলেন—ঐ-ঐ—কি ওটা, দেখুন দেখুন-সকলে চেয়ে দেখলাম কি একটু জানোয়ার মোটরের হেড লাইটের আলোয় মোটরখানার সামনে ছুটে চলেছে। - সুবোধ বললে-হরিণ। আমি বললাম— বাৰ ! পরেশবাবু বললেন—ভালুক ! সেটা ৰে জানোষারই হোক, রাস্ত ছেড়ে দিতে জানে মা দেখা গেল। সামনে সেটা চলেচে গাড়ীর আগে আগে দৌড়ে—পাশ কাটিয়ে আমাদের পথ দেবার কোনো চেষ্টাই তার নেই। সমানে ছুটচে। আমি বললাম—স্পীড, বাড়িয়ে ওটাকে চাপা দিলে কেমন হয়, মিঃ সিংহ ? - মি: সিংহ বললেন-হয় ভালোই, কিন্তু গাড়ী জোরে চালাতে সাহস করি নে এই কুয়াশীর মধ্যে । প্রায় মাইল খানেক পথ গাড়ীর সঙ্গে পাণ্ড দিয়ে ছুটবার পরে জানোয়ারটা হঠাৎ লাফ দিয়ে বা দিকের কুয়াশাবৃত বন-মধ্যে অগুহিত হোল। এর আগেও সে অনায়াসেই ষেতে পারতো, কেন যে যায় নি সে-ই বলতে পারে। এই সময়ে সকলেরই ভীষণ ঘুম পেয়েচে। ভোর পাঁচটা ঘড়িতে দেখা গেল। ফুটফুট করচে জ্যোৎস্না, যেন রাত দুপুর। নির্জন নিস্তন্ধ কুয়াশাচ্ছন্ন বনানী আমাদের চারিদিকে ঘিরে। মিঃ সিংহ একবার গাড়ী থামিয়ে মাল বের করে চোখ মুছে নিলেন। খুব ঘুম পেয়েচে তারও ৷ ." * আমি বললাম-গাড়ী একপাশে রেখে একটু ঘুমিয়ে নিন মিঃ সিংহ, এ অবস্থায় গাড়ী চালানোটা – স্থবোধ বললে - খুব বিপজ্জনক। কিন্তু এখানে গাড়ী রাখাটা আরও বিপজ্জনক— —কেন ? . --বাম্বের ভয় | xশুনে পয়েশবাবু ব্যস্ত হয়ে উঠে বললেন—তবে চলুন চলুন, যাওয়াই মাক