পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BDDB BBDDD DDD BBDD DS B BDD SDDD DDS BBD BBBD DD বড় অন্ধকার’ এই রকম একটি লাইনও লিখিত হইয়াছে সে ভাষার পদ্ধ আর গদ্য দুই যেন প্রকৃতি-বর্ণনায় পঞ্চমুখ। আর যে দেশের শ্রেষ্ঠ কবি গন্ধেই বলেন—‘ইন্দ্রের যেমন ঐরাবত আমার তেমনি পদ্মা', সে দেশে প্রকৃতি নিজেই ছন্দময়, তাহাকে ফুটাইয়া তুলিতে আর ছন্দের <थं८ब्रांछन श्ब्र नां । তাহা হইলে বিভূতিভূষণের প্রকৃতি-প্রেমের মধ্যে নূতন কি পাইলাম। ওয়ার্ডসওয়ার্থ প্রকৃতি-প্রেমিক, কিন্তু বিভূতিভূষণ কি বাংলা সাহিত্যের ওয়াডর্সওয়ার্থ ? মার্কিন লেখক Thoreau প্রকৃতি-পাগল হইয়া বন কাটিয়া বসতি করিলেন অীর সেই ঝাড়-জঙ্গলে ফলিত জীবনের কথা লইয়া তাহার Walden ( ১৮৫৪ ) গ্রন্থখানি লিখিলেন। আর প্রকৃতির নিত্য-সান্নিধ্য তিনি কেন চাহিলেন সে বিষয়ে তাঙ্গার কথার সঙ্গেবিভূতিভূষণের কথার কিছু মিল costs of ‘I went to the wood because I wished to live deliberately, to front only the essential facts of life, and see if I could not learn what it had to teach, and not, when I came to die, discover that I had not lived." কিন্তু তবু বলিতে হয় “আরণ্যক" আর Walden এক বস্তু নয়। শুনিয়াছি coco Rif William Honry IIudson & Green Mansions » - 8 ) to Tow বিভূতিভূষণের “আরণ্যকে"র তুলনা করিয়াছেন। Hudsonও প্রকৃতিপ্রেমিক, বিভূতিভূষণও প্রকৃতি-প্রেমিক, অতএব এই দুইএর রচনা সমধর্মী এমন যুক্তি সাহিত্যে অচল। Green Mansions-এ বর্ণিতভেনেজুয়েলার অরণ্য Iাudson কখনও স্বচক্ষে দেখেন নাই। আরণ্যকেব অরণ্য বিভূতিভূষণের চোখে দেখা অরণ্য। তাহার নিসর্গ-প্রতি তাহার নিজস্ব, তিনি কোন ইংরাজী বই হইতে উহা লাভ করেন নাই । এই নিজের চোখে দেখাটাই বিভূতিভূষণের পুরুষার্থ। এই দেখা বড় সহজ কাজ নয় । আর দেখিয়া অপরকে দেখান প্রতিভার কর্ম। প্রাচীন মহাকাব্যের এক প্রধান বৈশিষ্ট্য ইহাতে সব কিছুই যেন স্পষ্ট ও উজ্জল হইয়া চোখের সামনে ভাসিতে থাকে। আকাশ, স্বর্য চন্দ্র, তারা, মানুষ, পশুপক্ষী সব যেন সিনেমার ক্লোজ-আপের মত জল জল করিতে থাকে। ইহার বোধ হয় একটি কারণ এই যে প্রাচীন কালের মানুষ চারিদিকে তাকাইয়া সব কিছু দেখিয়া লইতে ভালবাসিত। আর সেই দেখাটা কোন ভাব বা চিন্তার দ্বারা আচ্ছন্ন হইত ail I cannot soe what flowers are at my feet, cota zličín of fiftonal ইহাতে চোখের দৃষ্টিকে ভাবের দৃষ্টি আচ্ছন্ন করিয়াছে। তবে কি বুঝিব বিভূতিভূষণের কাছে চোখের দেখাই সব, তাহার কাছে ভাব-দৃষ্টির কোন মূল্যই নাই। ভাব ছাড়া সাহিত্য নাই। কথাটি সংস্কৃত অলংকার-শাস্ত্রের কোন স্বত্র ধরিয়া বলিলাম না। কথাটি রাম শুম দ্বন্ধু মধুর কথা। আর বিভূতিভূষণ বাঙালীর কাছে ভাবুক মাহৰ হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু তাহার ভাবের কথা হীরকখণ্ডের ছত্তির মত তাহার চোখের দেখা বস্তু হইতেই যেন ঠিকরাইরা পড়িতেছে। যে বংশীধ্বনি কানে বাজিবার আগেই