পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথেয় পাঁচালী Ra মাঝখানে আনিয়া বলিলেন, দুৰ্গা, বল এখনও কোথায় রেখেছিল?--বলবি নে •••না, তুমি জানো না, তুমি খুকী—তুমি কিছু জানো না-শীগগির বল, নৈলে দাঁতের পাটি একেবারে সব ভেঙে খুঁড়ো ক’রে ফেলবো এখুনি! বল শীগগির-কলা এখনো বলচি টুনির মা হাত ধরিতে আগাইয়া আসিতেছিল, একজন কুটুখিনী বলিলেন, রোলো না, দেখাচো না। ওই ঠিক নিয়েছে। চোরের মারই ওষুধ-দিয়ে দাও এখুনি মিটে গেলা-কেন মিথ্যে দুৰ্গার মাথার মধ্যে কেমন করিতেছিল। সে অসহায়ভাবে চারিদিকে চাহিয়া অতি কষ্টে শুকুনো জিবে জড়াইয়া উচ্চারণ করিল-আমি তো জানিনে কাকীমা, ওরা সব চলে গোল আমিও তো-কথা বলিবার সময় সে ভয়ে আড়ষ্ট হইয়া সোিজ ঠাকুরুণের দিকে চোখ রাখিয়া দেওয়ালের দিকে ঘোবিয়া যাইতে লাগিল। পয়ে সকলে মিলিয়া আরও খানিকক্ষণ তাহাকে বুঝাইল । তাঁহার সেই এক কথা-লে अनि मी । কে একজন বলিল-পাকা চোয়টেপি বলিপি-বাগানের আমগুলো তলায় পড়বার যো নেই কাকীমাশেষোক্ত কথাতেই বোধ হয়। সেজ ঠাকুরুণের কোন ব্যথায় ঘা লাগিল। তিনি হঠাৎ বাজাখাই রকমের আওয়াজ ছাডিয়া বলিয়া উঠিলেন-তবে রে পাজি, নচ্ছার, চোরের ঝাড়, তুমি জিনিস দেবে না ? দেখি তুমি দেও কি না দেও ! কথা শেষ না করিয়াই তিনি দুর্গার উপর ঝাপাইয়া পড়িয়া তাহার মাথাটা লইয়া সজোরে দেওয়ালে ঠুকিতে লাগিলেন। বল কোথায় রেখেচিল-বিল, এখুনি-বিল শীগগির-বল৷ টুনির মা তাড়াতাড়ি ছুটিয়া আসিয়া সেঞ্জ ঠাকুরুণকে হাত ধৰিয়া বলিল, করেন কিকরেন। কি সেজদি-থাকৃঙ্গ আমার কোঁটাে-ওরকম ক’রে মারেল কেন ?--ছেড়ে দিনথাকৃত হয়েছে, ছােড়ন। ছিঃ ! টুনি মাৱ দেখিয়া কঁাদিয়া উঠিল। পূৰ্ব্বোক্ত কুটুম্বিনী বলিলেন ****, चङ्कं *८छ् ८*=" দুর্গার নাক দিয়া বাবু ঝর করিয়া বুক্ত পড়িতেছে তাহ কেহ লক্ষ্য করে নাই। বুকের কাপড়ের খানিকটা রক্তরাঙা হইয়া উঠিয়াছে। টুনির মা বলিলেন, শীগগির একটু জল নিয়ে আয় টেপ-রোয়াকের বালতিতে আছে ভাখ চেচামেচি ও হৈ চৈ শুনিয়া পাশের বাষ্ঠীর কামারদের কি-বোঁয়া ব্যাপার কি দেখিতে আসিল। রাণুৱা মা এতক্ষণ ছিলেন না-দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পরে কামার-বাষ্ঠী বসিয়া গল্প করিতেছিলেন--তিনিও আসিলেন। মারের চোটে দুর্গার মাথার মধ্যে বঁটা বঁটা করিতেছিল, সে দিশাহারা ভাবে ভিড়ের মধ্যে ५भक्यांश छाश्मिा कि gथिल। জল আসিলে রাণুর মা তাহার চোখে মুখে জল দিয়া তাহাকে ধরিয়া বসাইলেন। তাহার f 覇、3ー。