পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 विष्ट्रख्रि-ब्रष्नांवर्णीौ কোনো মায়াত্মক দোষের বর্ণনা না থাকা সত্ত্বেও সে প্রাণদণ্ডে দন্তিত হয়। নাটকের শেষদিকে স্নাজপুৰী অম্বার নারদের বরে পুনর্জীবন প্ৰাপ্তি বা বিশ্বন্ত সেনাপতি জীবনকেতুর সহিত তীহায় বিবাহ প্ৰভৃতি ঘটনায় যােহাৱা বলেন যে, গত বৈশাখ মাসে দেখা যাত্রায় পালা হইতে এক নামগুলি ছাড়া মূলতঃ কোনো অংশই পৃথক নহে, বা সেই হইতেই ইহা হুবহু লণ্ডয়া, তাহারা ভুলিয়া যান যে, অতীতের কোনো এক নীরব জ্যোৎস্নাময়ী রান্ত্ৰিতে নির্জন বাসকক্ষেত্র স্তিমিত দীপশষ্যায় এক প্রাচীন কবির নীলমেঘের মত দৃশ্যমান ময়ুৰ্ম্ম-নিনাদিত দূৰ বনভূমির স্বপ্ন যদি কালিদাসকে মুক্ত মেঘের ভ্রমণ বর্ণনে অনুপ্রাণিত করিয়া থাকে, তাহা হইলেই বা কি ?-••সে বিশ্বত শুভ-যামিনীয় বন্দন মানুষে নিজের অজ্ঞাতসারে হাজার বৎসর ধরিয়া করিয়া আসিতেছে। আগুন দিয়াই আগুন জালানো যায়, ছাই-এর টিপিতে মশাল গুজিয়া কে কোথায় মশাল জালে ?••• দপ্তরে একখানা বই আছে,-বইখানার নাম চরিতমালা, লেখা আছে ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর প্ৰণীত । পুরানো বই, তাহার বাবায় নানা জায়গা হইতে ছেলের জন্য বই সংগ্ৰহ করিবার বাতিক আছে, কোথা হইতে এখানা আনিয়াছিল, অপু মাঝে মাঝে খানিকটা পডিয়া থাকে। বইখানিতে যাহাঁদের গল্প আছে সে ঐ রকম হইতে চায়! হাটে আলু বেচিতে পাঠাইলে কৃষকপুত্র রক্কো বেড়ার ধারে বসিয়া বসিয়া বীজগণিতের চর্চা করিত, কাগজের অভাবে চামড়ার পাতে ভোতা আল দিয়া অঙ্ক কৰ্ষিত, মেষপালক ডুবাল ইতস্ততঃ সঞ্চরণশীল মেষদালকে ৰূপৃক্ষ বিচরণের সুযোগ দিয়া এক মনে গাছতলায় বসিয়া ভুচিত্র পাঠে মগ্ন থাকিত-লে ঐ রকম হইতে চায়।--"বীজগণিত’ কি জিনিস? সে বীজগণিত পড়িতে চায় রস্কোর মত। সে এই হাতের লেখা লিখিতে চায় না, ধাঁৱাপাত কি ভয়ঙ্করী এসব তাহার ভাল লাগে না। ঐ রকম নির্জন গাছতলায়, বনের ছায়ায়, কি বেড়ার ধারে বসিয়া বসিয়া সে “ভুচিত্র” (জিনিসটা কি ? ) পাতিয়া পড়িবে, বড় বড় বই পড়িবে, পণ্ডিত হইবে ঐ রকম। কিন্তু কোথায় পাইবে সে সব জিনিস? কোথায় বা ‘ভুচিত্র, কোথায় বা ‘বীজগণিত, কোথায়ই বা লাটিন ব্যাকরণ - এখানে শুধুই কড়ি কাবায় আৰ্য্যা, আর তৃতীয় নামতা ! মা বকিলে কি হইবে, যাহা সে পড়িতে চায়, ভাহা এখানে কই ? পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ কয়দিন খুব বর্ষ চলিতেছে। অন্নদা রায়ের চণ্ডীমণ্ডপে সন্ধ্যাবেলায় মজলিস বলে। সেদিন সেখানে নীলকুঠির ভূয়ো গল্প হইতে সুরু হইয়া পুৱীয় কোন মন্দিরের মাথায় পাঁচ মণ ভাৰী চুম্বক পাথর বসানো আছে, যাহার আকর্ষণের বলে নিকটবৰ্ত্তী সমূদ্রগামী জাহাজ প্রায়ই পথশ্ৰট হুইয়া আসিয়া তীরবর্তী ময় শৈলে লাগিয়া ভাঙিয়া যায় প্রভৃতি-আয়াৰ্য উপয়ালের