পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

外z*两*E栉 Ys আলে-মোর বর্ষণমুখর নির্মািন, জলে থৈ-থৈ, হু-হু পূবে হাওয়া বওয়া, মেঘে অন্ধকারে একাকার ভাদ্র-সন্ধা! আবার সেইরকম কালো কালো পেঁজা তুলোর মত মোৰ উড়িয়া চলিয়াছে***বুষ্টির শব্দে কান পাতা যায় না-দরজা জানাল দিয়া ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝাপটায় BBE BB D DBYS DBD LLYYSu S DB BD BBBSBDB S BDS DDD আড়ালের সাধ্য কি বে ঝড়ের ভীম আক্রমণের মুখে দাঁড়ায়। বেশী রাত্ৰে সকলে ঘুমাইলে বেশী বৃষ্টি নামিল। সৰ্ব্বজয়ার ঘুম আলে না-লে বিছানায় উঠিয়া বসে। বাহিরে শুধু একটানা হুস হল জলের শব্দ ; ক্রুদ্ধ দৈত্যের মত গর্জামান একটানা গোঁ গো রূবে ঝড়ের দমকা বাড়ীতে বাধিতেছে! --জীর্ণ কোঠাখানা এক একবারের দক্ষায় যেন থিয় থিয় করিয়া কঁপে •••ভয়ে তাহার। প্ৰাণ উড়িয়া যায়- “গ্রামের একাধায়ে বঁাশবনের মধ্যে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে লইয়া নিঃসহায় !r• মনে মনে বলে-ঠাকুর, আমি মারি তাতে খেতি নেই-এদের কি কয়ি ? এই রাত্তিরে যাই বা কোথায় ? মনে মনে বসিয়া বসিয়া ভাবেআচ্ছা যদি কোঠা পড়ে, তবে স্বালানোয় দেওয়ালটা বোধ হয় আগে পড়বে।--যেমন শব্দ হবে অমনি পানচালার দোর দিয়ে এদের টেনে বার ক’রে নেবো।-- সে যেন আর বসিয়া থাকিতে পারে না-কয়দিন সে গুলশাক কচুশাক সিদ্ধ করিয়া খাইয়া দিন কাটাইতেছে--নিজে উপবাসের পর উপবাস দিয়া ছেলেমেয়েকে যাহা কিছু সীমান্ত খাদ্য ছিল খাওয়াইতেছে-শীর ভাবনায় অনাহারে দুর্বল, মাথার মধ্যে কেমন করে । ঝড়ের গোঁ গো শব্দ, অনেক রাত্রে ঝড় বাড়িল। বাহিয়ে কি ঝটিকা আসিল ! উপায়। একবার বড় একটা দমকায় ভয় পাইয়া সে ঝড়ের গতিক বুঝিবার জন্য সস্তুর্পণে দালানের DDD DDB DBB DBLBBD gg DuBDSBuu DDD BDDiu uB BDDDB DuuS হু হু একটানা হাওয়ার শব্দে বৃষ্টিপতনের ঝড়ের শব্দ ঢাকিয়া গিয়াছে-বাহিয়ে কিছু দেখা যায় না-অন্ধকারে মেঘে আকাশে-বাতাসে গাছপালায় সব একাকার!--ঝড়বৃষ্টির শব্দে আর কিছু শোনা যায় না। এই হিংস্র অন্ধকার ও ক্ষুর ঝটিকাময়ী রজনীর আত্মা ধেন প্ৰলয়দেবেন্ধ দূতরূপে ভীম তৈয়ব বেগে সৃষ্টি গ্ৰাস করিতে ছুটিয়া আসিতেছে--অন্ধকারে, রাত্রে, গাছপালায়, আকাশে, মাটিতে তাহার গতিবেগ বাধিয়া শব্দ উঠিতেছে-সু-ইশ স্কু-উ-উ-ইশা সু উ উ উ ই শী---এই শব্দের প্রথমাংশের দিকে বিশ্বগ্রাসী ঘূতটা যেন পিছু হটয়া বলসঞ্চয় করিতেছে- উ-উ-এবং শেষেয় অংশটায় পৃথিবীর উচ্চ নীচ তাবৎ বায়ুস্তর আলোড়ন, মদন করিয়া বায়ুস্তরে বিশাল তুফান তুলিয়া তাহার সমস্ত আহুদ্রিকতার বলে সৰ্ব্বজয়াদের জীর্ণ কোঠােটার পিছনে ধাক্কা দিতেছে-ই-ই-শ"-কোঠা দুলিয়া দুলিয়া উঠিতেছে"।--অয় থাকে না ! ইহার মধ্যে যেন কোনো অধীয়তা, বিশৃঙ্খলতা, শ্ৰমত্ৰাপ্তি নাই-যেন দৃঢ়, অত্যন্ত, প্ৰণালীবদ্ধ ভাবের কৰ্ত্তব্যকাৰ্য্য!”-বিন্ধটাকে নিৰ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চূৰ্ণ করিয়া উড়াইয়া দেওয়ার ভার যে লইয়াছে, যুগে যুগে এরকম কত হাস্যমুখী স্কটিকে বিধ্বস্তু করিয়া অনন্তু আকাশের অন্ধকারে তারাবাজির মত