পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंहधब्र औ5ां YS অপু অবাক হইয়া বলে-কি স্বরেশাদা ? জুটুফেন! কোথায় লে ? সুয়েশ ঐটুকুয়া বেশী আর বলিতে পায়ে না।-- মাসখানেক পরে একদিন । মাছ ধরিতে গিয়া একটা বড় শরপুটি মাছ কি করিয়া তাহার ছিপে উঠিয়া গেল। লোভ পাইয়া সে জায়গাটি আয় অপু ছাড়ে না—গাছের ডালপালা ভাঙিয়া আনিয়া বিছাইয়া বলে । ক্ৰমে বেলা যায়, নদীর ধারের মাঠে আবার সেই অপূৰ্ব্ব নীরবতা, ওপায়ের দেয়াড়ের মাঠের পাৱে সুদূরপ্রসারী সবুজ উলুবনে, কাশ-ঝোপে, কদম-শিমূল গাছের মাথায় আবার তাহার শৈশব পুলিকের শুভমুহুর্তের অতি পরিচিত, পুৱাতন সাখী—বৈকালের মিলাইয়া-যাওয়া শেষ-মোদ ! বঙ্গবাসীতে ‘বিলাত যাত্রীর চিঠি’র মধ্যে পড়া সেই সুন্দয় গল্পটি তাহার মনে পড়ে--- সে স্বৱেশদাদার ইংরাজী ম্যাপে ভূমধ্যসাগর কোথায় দেখিয়াছে, তারই ওপারে ফ্রান্স দেশ সে জানে। কতকাল আগে ফ্রান্স দেশের বুকে তখন বৈদেশিক সৈন্যবাহিনী চাপিয়া বসিয়াছে, দেশ বিপন্ন, রাজা শক্তিহীন, চারিদিকে অরাজকতা, লুণ্ঠ-তরাজ ! জাতির এই ঘোর অপমানের দিনে, লোরেন। প্রদেশের অন্তঃপাতী এক ক্ষুদ্র গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক দুহিতা পিতার মেষপাল চরাইতে যায়, আর মেষের দলকে ইতস্ততঃ ছ'ডিয়া দিয়া নিভৃত পঞ্জীপ্ৰান্তরে তৃণভূমির উপর বসিয়া সুনীল নয়ন দু'টি আকাশের পানে তুলিয়া নির্জনে দেশের দুর্দশা চিন্তা করে । দিনের পর দিন এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে তাহার নিষ্পাপ কুমারী-মানে উদয় হইল, কে তাহাকে বলিতেছে --তুমি ফ্রান্সের রক্ষাকত্রী, তুমি গিয়া রাজসৈন্য জড় কয়, অস্ত্র ধর, দেশের জাড়ির পরিত্রাণের ভার তোমার হাতে! দেবী মেরী তাঁথার উৎসাহদান্ত্ৰী-দুৱ স্বৰ্গ হইতে র্তাহার আহবান আসে দিনের পর দিন। তারপর নব্বতেজোদৃপ্ত ফরাসী সৈন্যবাহিনী কি করিয়া শত্রুদলকে দেশ হইতে তাড়াইয়া দিল, কি করিয়া ভাবময়ী কুমারী নিজে অস্ত্ৰ ধরিয়া দেশের রাজাকে সিংহাসনে বসাইলেন, তারপর অজানান্ধ লোকে কি করিয়া ঠািহকে ডাইনী অপবাদে জীবন্ত পুড়াইয়া মারিল, এ সকল কথাই সে আজ পড়িয়াছে। এই বৈকাল বেলাটাতে, এই শাস্তু নদীর ধাৱে গল্পটি ভাবিতে ভাবিতে কি অপূৰ্ব্বভাবেই BDBB BBB BB BBB EE YYDBuB B BDES LBDDDD KES T BBD DBEE BB BLBLLL LL না। কিন্তু যে ছবিটি তাহার বায় বার মনে আসে, তাহা শুধু নির্জন প্ৰান্তয়ে চিন্তাষ্ণুতা বালিকা আর চারিধারে যািচ্ছ-বিচরণশীল মেষদাল, নিয়ে শ্যাম তৃণভূমি, মাথায় উপয় মূক্ত নীল আকাশ। একদিকে দুৰ্দ্ধৰ্ব বৈদেশিক শত্ৰু, নিষ্ঠুরতা, জয়লালসার দৰ্প, রক্তশ্ৰোতা-অপরদিকে এক সাৱলী, দিব্য তাবময়ী, নীলনয়না পল্লীবালিকা | ছবিটি তাঁহায় প্ৰবৰ্দ্ধমান বালক-মানকে মুন্ধ করিয়া দেয় । * আরও ছবি মনে আসে। কতদূরেন্থ নীল সমুদ্রে খোৱা মাটিনিক দ্বীপ। চারিদিকে