পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Web दिङ्गडि-ब्रध्नांदगी কাকার কাছে মোরাদাবাদে কাচের কায়খামায় গেলুম। বছরখানেক পরে তায়া আমায় পাঠিয়ে দিলে জাৰ্ম্মানীতে কাচের কাজ শিখতে। তারপর কোলোয়ে গেলুম, কাটা বেলোয়ায়ী কাচের কারখানাৰ কাজ শেখাবার জঙ্গে। কোলোয়ে অনেক দিন রইলুম। সেখানে থাকতে একজন আমেরিকান যুবকের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হ’ল,তিনি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট। "শিকাগো ইণ্টার-ওগুন” কাগজের তিনি ফ্রান্স দেশস্থ সংবাদদাতা। কোলোয়ে সব সময় না থাকলেও তিনি প্রায়ই ওখানে আসতেন। তঁরই পরামর্শে ওঁর সঙ্গে আমেরিকায় গেলুম। ঊার সাহাষ্যে দু'তিনটা বড় বড় কাচের কারখানায় কাজ দেখবার হযোগ পেলাম--পিটসবার্গে কর্ণেগীয় ওখানে প্ৰায় ছ'মাস রইলুম, নতুন ধরণের ব্লাস্টফার্ণেসেব কাজ ভাল ক’রে বোঝবার জন্যে। এ মিডল ওয়েস্টের একটা কাচের কারখানায় প্রভাত দে কি বসু বলে একজন বাঙালী যুবকের সঙ্গে দেখা হ’ল, তীবও বাড়ী চব্বিশ পৰগণা জেলায়। লে। ভদ্রলোক নিঃসন্বলে জাপান থেকে আমেরিকায় গিয়ে মহা হাবুডুবু খাচ্ছিলেন, তারই মুখে শুনলুম, সেয়াটুল-এ একটা নূতন কাচের কারখানা খোলা হচ্ছে। আমি জাপান দিয়ে আসব স্থির করেছিলুম, কাজেই আসবার সময় সেয়াটুলীগেলুম। তারপর জাপান ঘূবে দেশে এলুম। --মা ইতিমধ্যে মারা গিয়েছিলেন। ভাই-স্কুটিকে নিয়ে গেলুম মোবাদাবাদে। বেশীদিন ওখানে থাকতে হ’ল না । বম্বেতে বিয়ে কবেছি, আমাৰ শ্বশুর এখানে ভুক্তিাবী করতেন। সেই থেকে বন্ধে অঞ্চলেরই অধিবাসী হয়ে পড়েছি। বহুদিন বাংলা দেশে যাইনি, প্ৰায় ষোল-সাতোয় বছর হ'ল। বাংলা ক্ষেশেবা জল-মাটি গাছপালার জন্তে মনটা ভূষিত আছে। তাই আজি সন্ধ্যার সময় সমুদ্রের ধারে বসে আমার সবুজ শাড়ী-পরা বাংলা মায়ের কথাই ভাবছিলুম। • রাজাবাই টাওয়াবের মাথাব ওপৰ এখনও একটু একটু রোদ অাছে। বন্দরের নীল জলে মেসাজেয়ী মারিতিমুদের একখানা জাহাজ দাড়িয়ে দাড়িয়ে ধোয়া ছাড়ছে, এখােনা এখুনি ছেড়ে যাবে। ধা-ধারে খুব দূবে এলিফ্যান্টার নীল সীমারেখা। • ভাবতে ভাবতে প্ৰথম যৌবনের একটা বিশ্বতপ্রায় ঝাপসা ছবি বড় স্পষ্ট হয়ে মনে এলো। পঁচিশ বছর পূর্বের এমনি এক সন্ধ্যায় দূর বাংলা দেশের এক নিভৃত পঞ্জীগ্রামের জীৰ্ণ শান-বাঁধানো পুকুরের ঘাট বেয়ে উঠেছে আৰ্দ্ধ-বসনা তরুণী এক পল্লীবধু--- মাটির পথের বুকে বুকে লক্ষ্মীর চরণচিহ্নের মত তাব জলসিক্ত পা দুখানির রেখা আঁকা।-- আঁধার সন্ধ্যায় তার পথের ধারের বেণু কুঞ্জে লক্ষ্মীপেঁচা ভকছে । তার মেহাভয়া পবিত্র বুকখানি বাইরের জগৎ সম্বন্ধে নিশ্চিন্তু অনিশ্চয়তায় ভরা। আম কঁাটালের বনের মাখায় ওপরকার নীলাকাশে দু’একটা নক্ষত্র উঠে সরলা স্নেহ-দুৰ্বল বাধুটির ওপর সঙ্গেহ কৃপাদৃষ্টিতে DuD DBDBBD S BBDEE BgEL KK DDDD BD DiDDBDB BDBBDD DYBuBD BBB BD BBB DDB DDS DBK DBL GDKDDBYS ওগো লক্ষ্মী, ওগো স্নেহময়ী পল্লীবধু, তুমি আজও কি আছো ? এই জীৰ্ণ পচিশ বছয় পরে আজও তুমি কি সেই পুকুয়ের ভাঙ্গা ঘাটে সেই রকম জল আনতে বাও ? “আজ সে কত