পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতির রেখা °@气 মেয়ের হাজার বছর আগে মা-বাপেয় কোলে মিষ্টি হাসি হেসে কতদিন হ’ল ছেলেবেলায় দেখা স্বপ্নের মত কোথায় মিলিয়ে থিয়েছে, আজি সন্ধ্যায়। সেই সব অস্পষ্ট দূর অতীতের ছেলেপিলের মিলিয়ে যাওয়া হাসিরাশি-নদীর ধারে বনে বনে মাঠে মাঠে-কোপে কোপে-ফুল হয়ে ফুটে গোধূলির আঁধার আলো করে আছে । তার ক্ষুদ্র জগতে সন্ধ্যা হয়ে এল। রায়েদের কঁঠালতলায়, পুকুর ধারে, টুলুদের উঠানে, নেড়াদের বাড়ীর সামনের বড় গাছটার তলায় অন্ধকার হয়ে এল, খেলাঘরের ক্ষুত্র জগতের চারদিক খলন্ধকার হয়ে এল । জগতের অসংখ্য আনন্দের ভাণ্ডার উন্মুক্ত আছে। গাছপালা, ফুল, পাখী, উদার মাঠঘাট, KBYS KYBS BtLS LLLLLLDS SS BB BBBB KB LL BDS DBDBBDBB BBB উদার শূন্য-- এসব জিনিস থেকে এমন সব বিপুল, অবক্তব্য আনন্দ, অনন্তের উদার মহিমা প্ৰাণে আসতে পারে সহস্ৰ বৎসর ধরে তুচ্ছ জাগতিক বস্তু নিয়ে মত্ত থাকলেও সে বিরাট, অসীম, শান্ত উল্লাসের অস্তিত্ব সম্বন্ধেই কোন জ্ঞান পৌছয় না । জগতের শতকরা নিরানব্বই জন লোক এ আনন্দের অস্তিত্ব সম্বন্ধে মৃত্যুদিন পৰ্য্যন্ত অনভিজ্ঞই থেকে যায়-শতবর্ষজীবী হলেও পায় না। --অনুরূপ শিক্ষা, সাহচৰ্য্য, আদর্শ, যে রূপ আনন্দের পথ দেখিয়ে দেবার জন্ম প্রয়োজন হয়, দুৰ্ভাগ্যক্রমে তা সকলের জোটে না । সাহিত্যিকদের কাজ হচ্ছে এই আনন্দের বাৰ্ত্ত সাধারণের প্রাণে পৌঁছে দেওয়া । তারা ভগবানের প্রেরণা নিয়ে এই মহতী আনন্দবাৰ্ত্তা, এই অনন্ত জীবনের বাণী শোনাতে জগতে এসেছে, এই কাজ তাদের করতে হবেই-তাদের অস্তিত্বের এই শুধু সার্থকতা • • • ।। ৩০শে এপ্রিল, ১৯২৫), ভাগলপুর । আজ বসে বসে অনাগত দূর ভবিষ্যতের ছেলেমেয়েদের কথা মনে পড়ছে। তাদের কাঁচি কচি মুখ, তাদের হাসি, তাদের পাগলামি, তাদের সরল শিশু চোখের দুষ্টুমির চাউনি, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মনে পড়ছে।--ফুলের মত মুখে কচি ফুলের মত হাসি-আমার সেই সব অনাগত শিশু প্ৰপৌত্র, বৃন্ধ-প্রপৌত্র ও অতিবৃন্ধ-প্রপৌত্রদের জন্য কি রেখে যাব তাই ভাবছি। আগামী হাজার বছরের মধ্যে লাখে লাখে, কোটিতে কোটিতে, কত শিশুফুল ফুটে উঠছে নিৰ্ম্মল শুভ্ৰ হাসিন্ডর সুমঙ্গর সেীমা মেশামোশি গলাগলি করে-তারা সব একসঙ্গে ধেন পরস্পর ঠেলা ঠেলি করতে করতে তাদের শিশুমুখগুলি ভুলে, অজস্র খইয়ের মত ফোটা DBBD DB BuiSiD BBBDB BDDD DBD BDB BDBS SBDBD DDuDSJ চিরযুগব্যাপী অপরাহের শান্ত ছায়াভয়া মাঠে বসন্তের হাসি দেখছে “ওদের দেখতে পাচ্ছি। বেশ- আসবে, ওয়া আসবে। অনন্ত মেঘভরা আকাশে এখানে দু’একটা তারা দেখা যাচ্ছে। এই সামাঙ্গ দুদিনের অতি একঘেয়ে সঙ্কীর্ণ পৃথিবীর জীবন ফুরিয়ে গেলে মনে হয় ওয়াই আমাদের ভবিষ্যৎ স্বরদের হবে। হয়ত ওদের অদৃশ্য সাখী তারাগুলো, বড় বড় বিশ্ব, কত সভ্যতা, কত নূতন প্ৰাণী,