পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भूडिब्र cद्रथों 8°企 DBS BDDDDBD DBBK DB DDD SKDBBYiBBD DSDBB KB LB আমাদের উদ্ধার করতে। প্রসঙ্গক্রমে এখানে বলা যেতে পারে যে, সাহিত্য ও শিল্পকে সৰ্বসাধারণের উপযুক্ত করে দাও-এই একটি আধুনিক ধুন্ধর কোন মানে হয় না। এ কথার অর্থ তো এই যে, শ্ৰেষ্ঠ সাহিত্যের রস অত্যন্ত ঘন, একে খানিকটা জোলো করে দাও-এর শিল্পের বুননীতে অতি সূক্ষ্ম তন্তুর বদলে মোটা দৃড়িয়া ব্যবহার প্রচলিত করা। কারণ, তা হ’লে তখন শিক্ষা ও শক্তি নিবিশেষে এ সাহিত্য যাবতীয় জনের হয়ে উঠবে, ব্লসের মন্দিরে ভিডের আর কমতি থাকবে না। আমাদের বক্তব্য এই যে, এ রকম কোন আদেশের উপর যদি ক্কোর দেওয়া হয় তবে সাহিত্যের সর্বনাশ করা হবে, যাঙ্গের দিকে চেয়ে সাহিত্যে এই ভূয়ো গণতন্থের সুর আমদানির জন্য আমরা এ করতে যাব, তাদেরও শেষ পর্যাপ্ত উপকার কিছু হবে না। রসমাহিত্যের eBBLDDSKBB uD D DB SuDuDuS SDDYY LB BBD SDuS DB BDBB তাদের স্তয়ে না নামিয়ে উক্তরূপে তথাকথিত ‘হরিজনদের আর্ট ও সংস্কৃতিগত শিক্ষায় এমন সুযোগ ও সাহায্য দিতে হবে, যাতে করে তারা মনের দিক দিয়ে ক্রমশঃ উঠে আসতে পারে, সুক্ষয়ক্ষম ৰন্সের স্বাদ-গ্ৰহণে পারগ হয়। যেমন ধৰ্ম্মের ক্ষেত্ৰে, তেমনি এ ক্ষেত্রেও অধিকার মানতে হয়। বাস্তবিক পক্ষেও আমরা দেখতে পাই যে, চিস্তামূলক বা সৌন্দৰ্য্যমূলক সত্য, ইন্দ্ৰিয়জয় অতীন্দ্ৰিয় রসের আবেদন, অথবা একই শ্ৰেষ্ঠ কাব্য উপন্যাস বা নাটক, জন্মগত ক্ষমতা তখন অনুশীলন বৃত্তির চর্চাভেদে বিভিন্ন পাঠকের মনে-প্রধানতঃ ইনটেনসিটি’র দিক দিয়েবিভিন্ন রকমের সাড়া জাগায়। সুতরাং আমাদের কীৰ্ত্তব্য হচ্ছে, সাহিত্যের যে একটি স্বাভাবিক আভিজাত্য আছে, এমন কিছু না করা যাতে তা একটুকু ক্ষুন্ন হয়, পরন্তু আমাদের সবাইকে তার উপযুক্ত হতে শিক্ষিত করা। দুদিন বা দশদিন পয়ে কেউ আমার বই পড়বে না, এ ভয় কোনো সত্যিকার কথাসাহিত্যিক করেন না। করেন তঁরা, যারা একটা মিথ্যা ভবিষ্যতের ধূম্রলোকে নিজেদের চিরপ্রতিষ্ঠ দেখতে গিয়ে বৰ্ত্তমানের দাবীকে অস্বীকার করেন। কেউ বঁাচে নি, বড় বড় নামওয়াল কথাসাহিত্যিক তলিয়ে গিয়েছেন কালের ঘূর্ণিপাকের তলায়—সেই যুগের প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী যুগের লোকেরা খুলে ঝেড়ে ছেড়া পাতাগুলো উদ্ধার করবার কষ্টও স্বীকার করে না। দু’দশজন সাহিত্য-রসিক, দু’পাঁচজন পণ্ডিত, দু’একজন বৈম্বখ্যাগবী মানুষ ছাড়া আজিকালিকার যুগে কথাসরিৎসাগর কে পড়ে, গোটা অখণ্ড আরব্য উপন্যাস কে পড়ে, গুন কুইকজোট কে পড়ে ? চসার, দান্তে, মিণ্টন এদের কথা বাদ দিই-ছাত্র বা অধ্যাপক ছাড়া কেউ এদের পাতা ওন্টায় না।--সকলে, তা কাব্য-প্ৰিয় নয়-কিন্তু অত বড় যে নামজাদা ঔপন্যাসিক বালজাক তঁর উপন্যাস রাশির মধ্যে কখানা আজকাল লোকে শখ করে পড়ে ? স্কট, হেনরি জেমদ, থ্যাকারে, ডিকেন্স সম্বন্ধেও অবিকল এই কথা খাটে। ফিল্মে না। উঠলে অনেকের অনেক উপন্যাস কি নিয়ে লেখা তাই লোকে জানত না । নামটাই থেকে যায় লেখকের, তাঁর রচনা আধমরা অবস্থায় থাকে; অনেক ক্ষেত্রেই মরে ভূত হয়ে যায়।