পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থ-পরিচয় 8¢ዓ “সাহিত্যিকদের কাজ হচ্চে এই আনন্দের বাৰ্ত্ত সাধারণের প্রাণে পেঁৗছে দেওয়া। তারা SDBB LBD DDD gi DDDB DS Sgg BDBBD DBD BB LEDLD YYB এসেচে- এই কাজ তাদের কর্তে হবেই-•তাদের অস্তিত্বের এই শুধু সার্থকতা৷ ” ‘পথের পাঁচালী” রচনা সম্পর্ক ২০ নভেম্বর ১৯২৫ খ্ৰীষ্টাব্দের দিনলিপিতে আরও তথ্য ፵†€፵፱ ቕኮ፱ : “সন্ধ্যার সময় টেবিলে আলো জলছে। লেখার পাতাগুলো ছড়ানো আছে। ফুলদানিটাতে chrysanthemum, কলা ফুল। এই সন্ধ্যা, এই লেখবার টেবিল অত্যন্ত রহস্যময়, অর্থযুক্ত-হয়তো একান্ন বৎসর পরে আমার কোনও চিহ্নও পৃথিবীতে খুজে মিলবে। না, কিন্তু আমার এই লেখা হয়ত থেকে যাবে। হয়ত কত লোকের মনে আশা সাত্মনা দেবে। হয়ত পাঁচ শত বছর পরে- যদি আমার লেখা বেঁচে থাকে। তবে-আমি-এই আমি-এই অত্যন্ত জীবস্তু প্ৰত্যক্ষ আমি, অনেক প্রাচীন কালের এক লেখক হয়ে যাবো । আমার বই-পত্তর বড় বিশেষ কেউ ছোবে না। তখনকার দিনের নতুন নতুন উদীয়মান লেখকদের বই সব খুব চলবে। অনাগত ভবিষ্যতের সে সব বংশধরগণের জন্যে আমি আলো জেলে তেল খরচ করে, আমার যথাসাধ্য বুদ্ধির অর্ঘ্য, যতই সামান্য হোক, যতই অকিঞ্চিৎকর হোক তুবুও দেবো, দিতেই হবে। মনের মধ্যে সে প্রেরণা যেন অনুভব করছি। তারপরে তা বঁচুক আর না বীচুক । আমি আর দেখতে আসবো না। আমার ফুলদানির এই অত্যন্ত বড় বড় ও সুন্দয় chrysanthemum ফুলটা আর বছর। এসময় কোথায় থাকবে ? আশি বছর পয়ে আমি কোথায় থাকবো ?” ( স্থতির রেখা, বি. রা, ১ম, পৃ. ৩৬৪-৬৫ } ); 'পথের পাঁচালী’র শেষ পৃষ্ঠার সঙ্গে ‘স্মৃতির রেখা।” দিনলিপির পৃষ্ঠায় লিখিত বিভূতিভূষণের চিন্তাধারার সঙ্গে আশ্চৰ্য্যজনক সৌসাদৃশ্য দেখিতে পাওয়া যায়। ১৯২৬ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৪ ফেব্রুয়ারী বিভূতিভূষণ ভাগলপুরে বসিয়া দিনলিপিতে লিখিতেছেন : “-মনের মধ্যে জীবন যেন বলছে -এই যে গণ্ডী তুমি তোমার চারিদিকে রচনা করে বসে। আছে এরা তোমারই ভৃত্য, তোমারই দ্বাস। তুমি কোন ভুল করে এদের হাতে ইচ্ছে কয়ে খাঁচার পাখীর মত বন্দী হয়ে আছো ? তুমি এদের চেয়ে অনেক বড়। জীবনটা ভালো করে দেখতে হবে। উপভোগ করতে হবে। জীবন উৎসবের মূল শুকিয়ে দেয়। অলস নিষ্কৰ্ম্ম জীবনযাত্রায় । শক্রকে তাড়াতে হবে। . --অনন্ত শূন্ত পথে ভ্রমণশীল জলন্ত পুচ্ছ, জানা অজানা ধূমকেতুরাজি, ঘূৰ্য্যমান ধাতুপিণ্ড, প্রস্তরপিণ্ডের অতি অদ্ভুত রহস্য ভরা ইতিহাস-এই জন্ম - মৃত্যু, পায়ের নীচের লক্ষ্য কোটী প্ৰাণীর মরে যাওয়ার লীলা ৎৈসব। মৎস্য যুগ, অঙ্গার যুগ, সরীসৃপ যুগের প্ৰাণীদের প্রস্তরীভূত কঙ্কাল কত ফুল ফল বন নদী পাহাড় ঝর্ণা, কত ফুলহীন, দিকহীন, গর্জমান মহা সমুদ্র-অনাদি, অনস্থ, লীলাময়, রহস্যময়, অজেয় জীবন মৃত্যুর প্রবাহ। এর মধ্যে তুমি জন্মেছ। আত্মাকে প্রসারিত করে দাও এদের মধ্যে। চুপ করে চোখ বুজে BB DDi TuDuu DLLSDDDDDS0DBK BDBBB DDBDD BDBB DEE BDBBBDBJDBDD