পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

lノ・ পত্নী মনোরমা ও পুত্ৰ কস্তা ও বিধবা বোন বীণাকে নিয়ে সপরিবারে প্রায় সম্বলহীন। ছোট ভাই বলাই নিজের খাটা-খাটুনিতে যা সংস্থান করে তা অচিরেই আর জুটবে না। বলাই মরণের পথে, কুপথ্যের লোভে মরকেও । বিপিন ও অনিচ্ছায় তাই পিতার চাকরি গ্রহণ করেছে—যদিও তার না আছে গ্রাম্য নায়েবের দাপট, না কর্মপটুতা। জমিদার অনাদি চৌধুরীও তা জানেন, তার স্ত্রীও জানেন, আরও বিশেষ করে জানে তাদের বিবাহিত কস্তা মানী। বালো কৈশোরে সে বিপিনদা’কে অনেক সময় দেখেছে, তার সঙ্গে খেলেছে,— বিপিনের থেকে ও বিপিনকে চিনেছে মনিীই বেশি। জমিদার-বাড়িতে খাওয়া শেষ করে বিপিন বহির্বাটিতে যাবার সময়ে জানালার গরাদ ধরে ঘরের মধ্য থেকে সেই মানীই প্রথম ডাক দিলে, “বিপিনদী । বর নরেনের সঙ্গে মানী এসেছিল তখন পিত্রালয়ে । পিত্তালয়ে কন্তু একটু মুক্ত স্বাধীন নিশ্চয়ই। কৌতুহলে ও চপলতায় তাই এগিয়েও সে গেল—পুরনো সৌহার্দ্যে । তারপর যথানিয়মে মানীর সেই প্রীতির স্পর্শেই এসে বিপিন সচেতন হল—এ এক নতুন ভাব, শুধু বালোর সখ্য নয়, নারী-পুরুষের পরস্পরের আকর্ষণ যা সংসারের ও সংযমের নিয়ম না ভাঙলেও মনকে স্বস্তি দেয় না, আবার বা অশাস্ত মনকে মাধুর্যে ভরে রাখে। এর BBBBB BB B BBBBS BB BS BB BB BBBB BBBB BBBS BBBS পুত্রকন্যা সকলকে স্বদ্ধ সংসারটাকে আগলে রাখা ছাড়া মনোরমার আর কোনো সত্তা নেই। বিপিনও এতদিন জানত না, মানীর জন্যই তা জানল—“মানী তার জীবনে আলোঁ দেখাইল । BB BBBS BBBB BB BB BBBSBBB BBSS BSBBB BSBSS BB BBBS অর্ধ-শিক্ষিত গ্রাম্য মাহুষ । সেই জীবিকার স্বত্রে তার বাস পিপলিপাড়ায় দত্তদের বাড় । সে বাড়ির মেয়ে শাস্তি বাপের বাড়ি এসে বিপিন ডাক্তারের মধ্যে কী দেখলে কে জানে। বিপিনের বুঝতে দেরি হয় না—তা শুধু ব্রাহ্মণ ডাক্তারবাবুর সেবা নয়, তার সঙ্গে মাধুর্যেরও সংযোগ BBB S BB BBB BB BB BBSBB BD BSBB BBBSBBB S BB BBBBDDDD ঘথন ঘটেছে—এদিকে বিপিনের ৪ পপার জমেছে—তখন আকস্মিক পুনরাবির্ভাব ঘটল মানীর । সে যাচ্ছে পিত্রালয়ে পিতৃশ্ৰাদ্ধে । সম্পর্কট। এবার সকরুণ মমতায় একটা সীমায় এসে যাচ্ছে । এসে গেলও । মানীই এবারও আলো দেখালে—শাস্তির সঙ্গে সম্পর্ক এবার সমাপ্ত করাই বিপিনের উচিত, না হলে অনর্থই ঘটবে। আর, যেখানেই থাক, বৌদিকে (মনোরমাকে) নিয়ে এসো তোমার কাছে।” বিপিন সে পথই গ্রহণ করবে—ওই তো তার সংসার । অবশু মানী রইল তার মন জুড়ে, আর বিলীয়মান শান্তির মুখটিও অনেকদিন ছিল তার মনে। মনোরম। তার প্রেমের আশ্রয় নয়, একটা রক্ষা-কবচ, সংসারধর্মের নিরাপদ অবলম্বন । মুখ্য কাহিনীটি এরূপ। অবশ্য এ কাঠামোর মধ্যে আরও দু'টি ক্ষুদ্রতর উপাখ্যান জুগিয়েছে প্রয়োজনীয় আলোছায়া—পিতা বিনোদ চাটুজ্জের ও কামিনীর পূর্বযুগের প্রণয়কথা, আর বিধবা বোন বীণা ও পটলের খণ্ডিত পারস্পরিক আকর্ষণের কথা। সাধারণ গ্রাম্য প্রণয়ের দু'টি রূপ, অসামাজিক, কিন্তু ক্লেদহীন । বিপিনের সংসারে বিশেষ লক্ষণীয় সাধারণ মাম্বুধের সাধারণ জীবনধাঞ্জার সঙ্গে বিভূতি