পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী واVوئ মাছ নামিলে নতুন ঠাকুর হাজারিকে ভাত বাড়িয়া দিল। পদ্ম বিকে আর এদিকে দেখা গেল না—সে এখন খরিদারদের খাওয়ার ঘরে ব্যস্ত আছে। নতুন ঠাকুর যদিও হাজারিকে চেনে না তবুও ইহাদের কথাবার্তা শুনিয়া সে বুঝিয়াছিল, হাজারি হোটেলের পুরোনো ঠাকুর—চাকুরিতে জবাব হইয়া চলিয়া যাইতেছে। সে হাজারিকে খুব ধত্ব করিয়া খাওয়াইল । যাইবার সময় হাজারি পদ্মকে ডাকিয়া বলিল—পদ্মদিদি, চললাম তবে । কিছু মনে C F1 || পদ্ম ঝি দোরের কাছে আসিয়া বলিল—ই্যা দাড়াও ঠাকুর । এই দুটো টাকা রাখে, কৰ্ত্তামশায় দিয়েচেন মাইনের দরুন। এই শেষ কিন্তু—আর কিছু পাবে না ব’লে দিলেন তিনি। হাজারি টাকা দুইটি লইয়া আগের আধুলিটির সঙ্গে চাদরের খুটে রাখিল কিন্তু সে খুব অবাক হইয়া গিয়াছে—সত্যই অবাক হইয়া গিয়াছে। —আচ্ছা, তবে আসি । —এসো। খাওয়া হয়েচে তো ? আচ্ছা । রাত সাড়ে ন’টার কম নয় । এত রাত্রে সে কোথায় যায় ! চাকুরি গেল। তবুও হাতে আড়াইট টাকা আছে। বাড়ী যাইয়া কি হইবে ? চাকুরি খুজিতে হইবেই তাহাকে । বাড়ী গিয়া বসিয়া থাকিলে এলিবে না। চাকুরি চলিয়া যাইবে—একথা হাজারি ভাবে নাই। সত্য সত্যই চাকুরি গেল শেবকালে ! সে জানে রাণাঘাটে কোনো হোটেলে তাহার চাকুরি আর হইবে না। ধন্থ বাড়ুধ্যে একবার তাহাকে হোটেলে লইতে চাহিয়াছিলেন বটে, কিন্তু এখন সে চুরির অপবাদে হাজত বাস করিয়া আসিয়াছে, কেহই তাঁহাকে চাকুরি দিবে না। হাজারি দেখিল সে নিজের অজ্ঞাতসারে চুণী নদীর ধারে চলিয়াছে—তাহার সেই প্রিয় গাছতলাটিতে গিয়া বসিবে—বলিয়া ভাবিবে। ভাবিবার অনেক কিছু আছে। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা নদীর ধারে বসিয়া থাকিয়াও ভাবনার কোনো মীমাংসা হইল না। আজ রাত্রে অবগু স্টেশনের প্ল্যাট্রফৰ্ম্মে শুইয়া থাকিবে—কিন্তু কাল ধায় কোথায় ? আড়াই টাকার মধ্যে দুটি টাকা বাড়ী পাঠাইতে হইবে । টেপি—টেপির মুখে হয়তো তাহার মা দুটি ভাত দিতে পারিতেছে না। এ চিন্তা তাহার পক্ষে অসহ । ন—কালই টাকা দুটি পাঠাইবে ডাকে । মনি অর্ডার ফি দিবে আধুলিট হইতে । পুরে। দু’টাকা বাড়ী যাওয়া চাই । স্টেশনের প্ল্যাট্রফৰ্ম্মে শেষ রাজের দিকে সামাপ্ত ঘুম হইল । ফরিদপুর লোকালের শৰে খুৰ