পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bro বিভূতি-রচনাবলী বাহিরে আসিয়া পথে উঠিয়া ইপি ছাড়িয়া বঁচিল । ভাবিল--বাপরে! কুড়ি বিঘে ধানের জমি দিলেও এ গায়ে নয় রে বাবা! মানুষ থাকে এখানে ? মানুষজনের মুখ দেখার ষো নেই, কাজ নেই, কৰ্ম্ম নেই–কুড়ের মতো বসে থাকে। আর গোলার ধানের ভাত খাও— সৰ্ব্বনাশ ।--আর কি জঙ্গল রে বাবা ! ••• রাস্তার ধারে একটা লোক কাঠ ভাঙিতেছিল । হাজারি তাহাকে বলিল-সামনে কি বাজার অাছে বাপু ? BBBB BBBB BBSBBS BB BBBB BBBS BBBS BB BBBS BBB B আলেন পিমূলে খে ? —#ĪĪ Ī —ওখানে আপনাদের এয়্য-কুটুম্ব আছেন বুঝি ? আপনার ? —ব্রাহ্মণ । —পেরণাম হই । কোথায় যাবেন আপুনি ? হাজারি জানে পল্লীগ্রাম-অঞ্চলে এই সব শ্রেণীর লোক তাহাকে অকারণে হাজার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া বিরক্ত করিয়া মরিবে । ইহাই ইহাদের স্বভাব । হাজারিও পূৰ্ব্বে এই রকম ছিল—কিন্তু রাণাঘাট শহরে এতকাল থাকিয়া বুঝিয়াছে অপরিচিত লোককে এসব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে নাই বা করিলে লোকে চটে। হাজারি বর্তমান প্রশ্নকর্তার হাত এড়াইবার জন্য সংক্ষেপে দু-একটি কথার উত্তর দিয়া তাহাকে আবার জিজ্ঞাসা করিল—সামনে কি বাজার পড়বে বাপু ? —এজ্ঞে ধান, গোপালনগরের বড় বাজার পড়বে—কোশ দুই আর আছেন। গোপালনগরের নাম হাজারির কাছে অত্যন্ত পরিচিত i এদিকের বড় গম গোপালনগর, সকলেই নাম জানে । মধ্যাহ্নভোজনটা একটু বেশী হইয়া গিয়াছিল, রাত্ৰে খাইবার আবখ্যক নাই। একটু আশ্রয় পাইলেই হইল। স্বতরাং হাঙ্গারির মন সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত ছিল। এ কয়দিন সে যেন নূতন জীবন যাপন করিতেছে—সকালে উঠিবার তাড়া নাই, পদ্মবিয়ের মূখনাড়া নাই—বেচু চকুত্তির কাছে বাজারের হিসাব দিতে যাওয়া নাই—দশ সের কয়লাজল অগ্নিকুণ্ডের তাতে বসিয়া সকাল হইতে বেলা একটা এবং ওদিকে সন্ধ্য হইতে রাত বারোটা পধ্যস্ত হাতীখুস্তি নাড়া নাই, বাচিয়াছে সে ! পথের ধারে একটা গাছতলায় পাকা বেল পড়িয়া রহিয়াছে দেখিয়া হাজারি সেটা সংগ্ৰহ করিয়া লইল। কাল সকালে খাওয়া চলিবে। " সব ভাল—কিন্তু তবু হাজারির মনে হয়, এ ধরণের ভবঘুরে জীবন তাহার পছন্দসই নয় । বৃথা ঘুরিয়া বেড়াইয়া কি হইবে ? চাকুরি জোটে তো ভাল। নতুবা এ ধরণের জীবন সে কতকাল কাটাহঁতে পারে ?...একমাসও নয়। সে চায় কাজ, পরিশ্রম করিতে সে ভয় পায় না, সে চায় কৰ্ম্মব্যস্তত, দু-পয়সা উপার্জন, নাম, উন্নতি । ইহার উহার বাড়ী খাইয়া