পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিন্দুহোটেল Ꮌa☾ রেল বাজারে যেমন বাবুর হোটেলে দেখা করতে ৰাওয়া, অমনি বাৰু বহাল করলেন কাজে । সেখানে কাজ সাঙ্গ করে চুর্ণর ধারে বেড়িয়ে এই আসছি। --ওমা আমার কি হবে ? ওরা আবার আপনাকে ডেকে বহাল করেছে! তবে মিথ্যে চুরির অপবাদ দিয়েছিল কেন ? পদ্ম আছে তো ? —পদ্ম নেই তো যাবে কোথায় ? আছে বলে আছে ! খুব আছে। পরে গর্বের স্বরে বলিল-আমায় না নিলে হোটেল ষে ইদিকে চলে না। খদেরপত্তর তে আদ্ধেক ফর্সা। সব উঠেছে গিয়ে বাড়ুযে মশায়ের হোটেলে । হাজার হোক, হোটেলের মালিক, স্বতরাং তাহার মনিবের সমশ্রেণীর লোক। হাজারি যদু বাড়ুষ্যের নামটা সমীহ করিয়াই মুখে উচ্চারণ করিল। কুসুম যেন অবাক হইয়া খানিকটা দাড়াইয়া রহিল। পরে হঠাৎ ব্যস্ত হইয়া উঠিয়া বলিল —বস্কন, জ্যাঠামশায়, আসছি আমি— —না, না, শোনো । এখন খাওয়া-দাওয়ার জন্যে ধেন কিছু কোরো না— —আপনি বন্ধন তো । আসছি আমি— কোনো কথাই খাটিল না। কুষম কিছুক্ষণ পরে এক বাটি গরম সরদুধ ও দু-খানি বরফি সন্দেশ রেকাবিতে করিয়া আনিয়া হাজারির সামনে রাখিয়া বলিল—একটু জল সেবা করন । —ওঃ তো তোমাদের শোধ, বারণ করে দিলেও শোনো না— কুমম হাসিমুখে বলিল—কথা শুনবে এখন পরে—দুধটা সেবা করুন সবটা—ভালো দুধ— বাড়ীর গরুর । ঘন করে জাল দিয়েছি, দুপুর থেকে আকার ওপর বসানো ছিল। --তুমি বড় মুশকিলে ফেললে দেখfচ মা !--নাঃ– হাজারিকে পান সাজিয়া দিয়া কুষম বলিল—জ্যাঠামশায় হোটেল ভাল লাগছে ? —তা মন্দ লাগছে না। আজ বেশ ভালই লাগলো। তবে ভাবছি কি জানো মা, এই রেল বাজারে আর একটা হোটেল বেশ চলে । —শুধু বেশ চলে না জ্যাঠামশায়, খুব ভাল চলে। আপনার নিজের নামে হোটেল দিলে সব হোটেল কানা পড়ে যাবে। —তোমার তাই মনে হয় মা ? —ই্যা, আমার তাই মনে হয়। খুলুন আপনি হোটেল। —আর একজনও একথা বলেছে কালই। তোমার মত পেও আর এক মেয়ে আমার। আমাদের গায়েরই— —কে জ্যাঠামশায় ? —হরিবাবুর মেয়ে, অতসী ওর নাম, টেপির বন্ধু। খুব ভাব দ্বজনে। সে আমায় কাল বলছিল— —আমাদের বাবুর মেয়ে ? আমি দেখিনি কখনো। বয়েস কত ?