পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

პა\უ বিভূতি-রচনাবলী —ওরা নতুন এসেছে গায়ে, কোথা থেকে দেখবে । বয়েস ষোল-সতেরো হবে। বড় ভাল মেয়েটি । —সবাই যখন বলছে, তাই করুন আপনি । টাকা আমি দেবে— —অতসীও দবে বলেছে । দু-জনের কাছে টাকা নিলে জাকিয়ে হোটেল দেবো। কিন্তু ভয় হয় তোমার ব্যাঙের আধুলি নিয়ে শেষে যদি লোকসান ধায়, তবে একুল ওকুল ছুকূল গেল। বরং অতসী বড় মামুধের মেয়ে—তার দুশো টাকা গেলে কিছু তার আসে যাবে ন!— —না, আমার টাকাও খাটিয়ে দিতে হবে । সে শুনছি নে । —আমি দুজনের টাকাই নেবো । কাল থেকে জায়গা দেখছি রও। তবে টাকা গেলে আমায় দোষ দিও না । —জ্যাঠামশায়, আপনি হোটেল খুললে টাকা ডুববে না—আমি বলছি । এর পরেও যদি ডোবে, তবে আর কি হবে । আপনার দোষ দেবে না । উঠিবার সময় কুসুম বলিল, জ্যাঠামশায়, পরশু সংক্রাস্তির দিন বাড়ীতে সত্যনারায়ণের সিন্নি দেবো ভাবছি, আপনি এখানে রাত্রে সেবা করবেন। —তা কি করে হবে মা ? আমি রাতে বারটার কম ছুটি পাবো না ! —তবে তার পর দিন দুপুরে ? বেলা একটার সময় আসবেন । আমি লুচি ভেজে রাখবো, আপনি এসে তরকারি করে নেবেন । কথা রইলো, আসতেই হবে কিন্তু জ্যাঠামশায় । হোটেলে ফিরিয়া সে বড় ডেকে রান্ন। চাপাইয়া দিল । বংশী ঠাকুর এবেলা এখনো আসে নাই, হাজারি অত্যন্ত খুশির সহিত চারদিকে চাহিয়া দেখিতে লাগিল—সেই অত্যন্ত পরিচিত পুরাতন রান্নাঘর, এমন কি একখানা পুরানো লোহার খুস্তি পাচমাস আগে টিনের চালের বাতার গায়ে সেই গুজিয়া রাখিয়া গিয়াছিল এখনও সেখানা সেই স্থানেই মরিচা-পড়া অবস্থায় গোঙ্গাই রহিয়াছে। সেই বংশী, সেই রতন, সেই পদ্মপি দি । ংশী আসিয়া ঢুকিল। হাজারি বলিল—আজ পেপে কুটিয়ে দাও তো বংশী, একবার পেঁপের তরকারী মন দিয়ে রণধি অনেক দিন পরে । একদিনে বাড়ুজ্যে মশায়ের হোটেল কানা করে দেবে। গদির ঘরে পদুঝিয়ের গলার আওয়াজ পাইয়া বংশী বলিল—ও পদ্মদিদি, শোনো ইদিকে —ও পদ্মদিদি– পদ্মঝি থার্ডক্লাসের খাওয়ার ঘর পার হইয়া রান্নাঘরের মধ্যে আসিয়া ঢুকিয়া বলিল—কি २८ग्नCछ् ? বংশী বলিল—কি কি রাক্স হবে এবেলা ? হাজারি বলেছে পেপের তরকারি রাধবে ভাল করে। দু-একটা ভালমন্দ আমাদের দেখাতে হবে আজ থেকে । পেঁপে তো রয়েছে— কি বল ?