পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিন্দুহোটেল 9אצל হাজারি স্নান সারিয়া বলিল—আমি একবার হোটেলে চল্লাম । তোমর। রান্ন। চাপাও । আমি দেখে আসি । আধঘণ্টা পরে হাজারি ফিরিয়া দেখিল টেপি ও টেপির মা দুজনে উকুনে পরিত্রাহি ফু পাড়িতেছে । আঁচ নামিয়া গিয়াছে, তখনও মাছের ঝোল বাকি । টেপির মা বিপন্নমুখে বলিল—ওগো, এ আবার কি হোল, উকুন ধে নিবে আসছে। কি করি এখন ? কুষম বাড়ীতে স্নান করিতে গিয়াছে, রাখাল গিয়াছে হোটেলে, কারণ এই সময়টা সেখানে খরিদারের ভিড় অত্যন্ত এবেল অন্ততঃ একশত জন খায়। বেচু চক্কত্তি ও স্বছ বাড়ধ্যের হোটেল কানা হইয়া পড়িয়াছে। হাজারি নিজের হাতে রান্না করে, তাহার রান্নার গুণে –রেলবাজারের যত খরিদার সব ঝু কিয়াছে তাহার হোটেলে । তিনজন ঠাকুর ও চারিজন চাকরে হিমসিম খাইয়া যায়। ইহার কেহই কয়লার উকুনে আঁচ দেওয়া দূরের কথা, কয়লার উকুনই দেখে নাই । আঁচ কমিয়া ধাইতে বিধম বিপদে পড়িয়া গিয়াছে । ইহাদের অবস্থা দেখিয়া হাজারির হাসি পাইল। বলিল—শেখে, পাড়াগেয়ে ভূত হয়ে কতকাল থাকবে ? সরো দিকি ? ওর ওপর আর চাটি কয়লা দিতে হয়—এই দেখিয়ে দিই । টেপির মা বলিল—আর তুমি বড় শহুরে মাইষ ! তবুও যদি এড়োশোলা বাড়ী নী হোত ! —আমি ? আমি আজ সাত বছর এই রাণাঘাটের রেলবাজারে আছি। আমাকে পাড়াগেয়ে বলবে কে ? ওকথা তুলে রাখোগে ছিকেয় । টেপি বলিল—বাবা এখানে টকি আছে ? তুমি দেখেছ ? হাজারি বিশ হাত জলে পড়িয়া গেল। টকি বাইস্কোপ এখানে আছে বটে কিন্তু ৰাইকোপ দেখার শখ কখনও তাহার হয় নাই। কিন্তু টোপ আধুনিক, এড়োশোলায় থাকিলে কি হয়, বাংলার কোন পাড়াগায়ে আধুনিকতার ঢেউ ধায় নাই ?--বিশেষত: অতসী তার বন্ধু-অতসীর কাছে অনেক জিনিস সে শুনিয়াছে বা শিখিয়াছে ঘাহা তাহার বাবা ( মা তো নয়ই ) জানেও না । টেপির মা বলিল—টীক কি গা ? হাজারি আধুনিক হইবার চেষ্টায় গম্ভীর ভাবে বলিল—ছবিতে কথা কয়, এই ! দেখেছি অনেকবার। দেখবো না আর কেন ? ছ— বলিয়া তাচ্ছিল্যের ভাবে সবট। উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিতে গেল—কিন্তু টোপ পরক্ষণেই জিজ্ঞাসা করিল-fক পালা দেখেছিলে বাবা ? —পালা ! তা কি আর মনে আছে ? লক্ষ্মণের শক্তিশেল বোধহয়, ই—লক্ষ্মণের শক্তিশেল । মনের মধ্যে বহু কষ্টে হাতড়াইয়া ছেলেবেলায় দেখা এক বাজার পালার নামটা হাজারি 翰 عطس-یا .f A. g