পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A obr বিভূতি-রচনাবলী পদ্মৰি হাত নাড়িয়া বলিল—আর খাওয়ানো বলে খাওয়ানো! এক এক গামূলা সিন্নি দিয়েছে তার পাতে—ইচ্ছে ছিল মুকিয়ে খাওয়াবে, ধর্শ্বের ঢাক বাতাসে নড়ে, আমি গিয়ে পড়েছি সেই সময় বড় ভেক্‌ নামলো কি না তাই দেখতে—আমায় দেখে— হাজারি বিনীত ভাবে বলিল—সত্যনারাণের পেরসাদ বলেই বাৰু দিয়েছিলাম—আমাদের পুরোনো খদের— to বেচু চকত্তি দাত খি চাইয়া বলিলেন—পুরোনো খদের । ভারি আমার পুরোনো খদ্ধের বে ? হোটেলের একটি মুঠো টাকা ফাকি দিয়ে চলে গিয়েছে, ভারি খন্ধের আমার ! চার মাস বিনি পয়সায় খেয়ে গেল একটি আধলা উপুড়-হাত করলে না, পয়লা নম্বরের জুয়াচোর কোথাকার—খদের ! তুমি কার হুকুমে তাকে হোটেলে ঢুকতে দিলে শুনি ? পদ্মবিী বলিল—আমি কোনো কথা বল্লেই তো পদ্ম বড় মন্দ। এই হাজারি ঠাকুর কি কম শয়তান নাকি-বাৰু? আপনি জানেন না সব কথা, সব কথা আপনার কানে তুলতেও আমার ইচ্ছে করে না। চুকিয়ে মুকিয়ে হোটেলের আদ্ধেক জিনিস ওঠে ওর এয়ার বকৃশীদের বাড়ী। যতনে ঠাকুর ওর এয়ার, বুঝলেন না আপনি ? বহাল করেন লোক, তখন আমি কেউ নই— কিন্তু হাতে হাতে ধরে দেবার বেলা এই জনা না হোলেও দেখি চলে না—এই দেখুন আবার চুরি-চামারি শুরু যদি না হয় হোটেলে, তবে আমার নাম— বেচু চক্কত্তি বলিলেন—এটা তোমার নিজের হোটেল নয় যে তুমি হাজারি ঠাকুর এখানে বা খুশি করবে। নিজের মত এখানে খাটালে চলবে না জেনে। তোমার আট আনা জরিমানা হোল । হাজারি বলিল--বেশ বাবু, আপনার বিচারে যদি তাই হয়, করুন।জরিমানা। তবে যতীন-বাবু আমার এয়ারও নয় বা সে সব কিছুই নয়। এই হোটেলেই ওঁর সঙ্গে আমার আলাপ— ওঁকে দেখিনিও কতদিন। পদ্মদিদি অনেক অনেয্য কথা লাগায় আপনার কাছে—আমি আসছে মাস থেকে আর এখানে চাকরি করবো না । পদ্মঝি এ কথায় অনৰ্থ বাধাইল । হাত পা নাড়িয়া চীৎকার করিয়া বলিল—লাগায় ? লাগায় তোমার নামে ? তুমি যে বড় লাগাবার যুগি লোক। তাই পদ্ম লাগিয়ে লাগিয়ে বেড়াচ্চে তোমার নামে। যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা ! তোমার মত লোককে পদ্ম গেরায্যির মধ্যে আনে না তা তুমি ভাল করে বুঝে ঠাকুর। স্বাও না, তুমি আজই চলে যাও। সামনের মাসে কেন, মাইনেপত্তর চুকিয়ে আজই বিদেয় হও না—তোমার মত ঠাকুর রেল বাজারে গওীয় গগুীয় মিলবে— বেচু চক্ষত্তি বলিলেন—চুপ চুপ পদ্ম, চুপ করে। খদেরপত্র আসচে ঘাচ্চে, ওকথা এখন থাক। পরে হবে—আচ্ছা তুমি যাও এখন হাজারি ঠাকুর— অনেক রাত্রে হোটেলের কাজ মিটিল। গুইবার সময় হাজারি বংশীকে বলিল—দেখলে তো কি রকম অপমানটা আমার করলে পদ্মদিহি ? তুমিও ছাড়, চল দুজনে বেরিয়ে খাই। ভাখে একটা কথা বংশী, এই হোটেলের