পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ๆ e বিভূতি-রচনাবলী বিপিনের ছোট ভাই বলাই আজ চার-পাচ মাস অসুস্থ । তাহার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্যই টাকা কয়টির নিতাস্ত দরকার ছিল । বলাইকে রাণাঘাটে লইয়া গিয়া ৰত ভাক্তারকে দেখানো হইয়াছে এবং এখন আগের চেয়ে সে অনেকটা সারিয়া উঠিয়াছে বলিয়া ভাক্তার আশ্বাস দিয়াছেন । বলাই বর্তমানে রাণাঘাটেই মিশনারি হাসপাতালে चोरछ । ३ পরদিন পলাশপুরে যাওয়ার পথে বিপিন রাণাঘাট সিপাতালে গেল । স্টেশন থেকে হাসপাতাল প্রায় মাইলথানেক দূরে । বেশ কাৰণ স্বাঠের মধ্যে । বলাই দাদাকে দেখিয়া কাজিতে আরম্ভ করিল। —দাদা, আমায় এখানে এর না খেতে দিয়ে মেয়ে ফেললে, আমায় বাড়ী নিয়ে যাবে কবে ? আমি তো সেরে গেছি, না গেয়ে মলাম ; তোমার পায়ে পণ্ডি দাদা, বাড়ী কবে নিয়ে যাবে বল । —খেতে দেয় না তোর অস্থখ ব’লেই তো । আচ্ছা, আচ্ছা, পলাশপুর থেকে ফিরবার পখে তোকে নিয়ে ধাব ঠিক । কি খেতে ইচ্ছে হুষ % - —মাংস খাই নি কতদিন। মাংস খেতে ইচ্ছে হয়—বৌদিদির হাতে রান্না মাংস— —আচ্ছা হবে হবে । এই মাসেই নিয়ে যাব । বিপিন আড়ালে নার্সকে জিজ্ঞাসা করিল, আমার ভাই মাংস খেতে চাইছে—একটু वtक्षणॆ নার্স এদেশী খ্ৰীষ্টান, পূৰ্ব্বে কৈবৰ্ত্ত ছিল, গোলগাল, দোহার, বেশি বয়েস নয়—জকুটি করিয়া বলিল, মাংস খেয়ে মরবে যে ! নেফ্রাইটিসের রুগী, অত্যন্ত ধরাকাঠের মধো না রাখলে স্বা একটু সেরে আসছে, তাও স্বাবে । মাংস । বৈকালের দিকে পাঁচ মাইল পথ স্থাটিয়া বিপিন পলাশপুরে পৌঁছিল। বিপিনের বাবা vবিনোদ চাটুজ্যে এখানে কাজ করিয়া গিয়াছেন, স্বতরাং বিপিনের জমিদার-বাড়ীর সর্বত্র অবাধ গতি। সে অন্দরে ঢুকিতেই জমিদার-গৃহিণী বলিয়া উঠিলেন, আরে এস এস বিপিন, কখন এলে ? তারপর, তোমার ভাই এখনও সেই হাসপাতালেই রয়েছে ? কেমন আছে আজকাল ? _. জমিদার অনাদি চৌধুরী বিপিনের গলার স্বর শুনিয়া দোতলা হটতে ডাক দিয়া বলিলেন, ও কে ? বিপিন না ? এলে এতদিন পরে ? দশ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ী গিয়ে করলে দুমাস। এ রকম করে কাজ চলবে? দাড়াও, আমি আসছি— বিপিন জমিদার-গৃহিণীকে প্রণাম করিল। গৃহিণীর বয়স চল্লিশ ছাড়াইয়াছে, রং ফর্গা,