পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপিনের সংসার ›ፃ¢ মঙ্গলবার বৈকালে কামিনীর কাছে পাওয়া গেল পচিশটি টাকা । ধোপাখালির হাট হইতে জমিদার-গিল্পীর ফরমাশমত জিনিসপত্র কিনিয়া বিপিন বুধবার শেষ রাত্রির দিকে গরুর গাড়ী করিয়া রওনা হইল এবং বেলা দশটার সময় পলাশপুর আসিয়া পৌঁছিল। জমিদার-বাড়ী পৌঁছিবার পূৰ্ব্বে শুনিল, জামাইবাৰু কাল রাত্রে আলিয়া পৌঁছিয়াছেন। জমিদারবাবুর অবস্থা এখন তত ভাল নয় বলিয়া তেমন বড় পাত্রে মেয়েকে দিতে পারেন নাই । জামাই আইন পাস করিয়া আলিপুর কোর্টে ওকালতি করেন । কলিকাতায় বাড়ী আছে— পৈতৃক বাড়ী, যদিও দেশ এই পলাশপুরের কাছেই নোনাপাড়া । তরিতরকারির ধাম। গরুর গাড়ী হইতে নামাইতে দেখিয়া জমিদার-গৃহিণী খুশি হইয়া বলিলেন, ওই দেখ, বিপিন মহল থেকে কত জিনিসপত্র এনেছে! কুমড়েটি কে দিলে বিপিন ? কি চমৎকার কুমড়োটি ? বিপিন বলিল, দেবে আবার কে ? কাল হাটে কেনা। —জায় এই পটল, ঝিঙে, শাকের ডাটা ? —ও লৰ ছাটে কেন । দেবে কে বলুন, কার দোরেই বা আমি চাইতে যাব ? SCGG DD DB BBBS B BB BBB BB BBB BB B BBBB DB S DDD থেকে জাগে তো দেখেছি কত জিনিসপত্র আসত, তোমার বাবাই আনতেন, আর আজকাল ছাই বলতে রাইও তো কখনও দেখি নে । ওটা কি, মাছ দেখছি যে, বেশ মাছ ! ওটাও কেন নাকি ? —আড়াই সের, সাত আনা দূরে, সাড়ে সতেরে আনায় নগদ কেন । জমিদার-গিল্পী বিরক্তির মুখে বলিলেন, কে বাপু তোমায় বলেছিল নগদ পয়সা ফেলে আড়াই সের মাছ কিনে আনতে ? মহলে নেই এক পয়সা আদায়, এর ওপর তরিতরকারি মাছে ছ’ টাকার ওপর খরচ ক’রে ফেলতে কে বলেছিল, জিগ্যেস করি । বিপিন বলিল, দু’ টাকার ওপর কি বলছেন ? সাড়ে তিন টাকা খরচ হয়েছে। আপনি সেই এক নাগরি আখের গুড় আনতে বলেছিলেন, তাও এনেছি । সাড়ে সাত সের নাগরি, তিন আন ক’রে সের হিসেবে— জমিদার-গিল্পী রাগিয়া বলিলেন, থাক, আর হিসেব দেখাতে হবে না । তোমাকে আমি ওসব কিনে আনতে কি বলেছিলাম ষে আমার কাছে হিসেব দেখাচ্ছে ? বিপিন খুশির সহিত ভাবিল, বেশ হয়েছে, মরছেন জ'লে পয়সা খরচ হয়েছে ব'লে। কি কৎস আর কি ছোট নজর রে বাবা ! মুখে সে কোন কথা না বলিয়া চুপ করিয়া রহিল।