পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԳԵ- বিভূতি-রচনাবলী রাত্রে খাওয়ার সময়েও এই ধরনের ব্যাপার অঙ্ক রূপ লইয়া দেখা দিল । জালানের একপাশে জামাইৰাবু ও তাহার খাবার জায়গা হুইয়াছে । জামাইয়ের পাতের চারিদিকে আঠারোটা বাটি, তাহাকে দিবার সময় সব জিনিসই পাতে দিয়া যাইতেছে। তাহার পরে দেখা গেল, জামাইবাবুর পাতে পড়িল পোলাও, তাহার পাতে গান তাত। অথচ ৰুিপিন বিকাল হইতেই খুশির সহিত ভাবিয়াছে, রাত্রে পোলাও খাওয়া ৰাইবে । পোলাও রান্নার কথা সে জানিভ। কি ভাগ্য, জামাইয়ের পাতে লুচি দেওয়ার সময় জমিদার-গিল্পী তাহার পাতেও খান চার লুচি দিলেন। বিপিন খাইয়ে লোক, চারখানি লুচি শেষ করিয়া বসিয়া আছে দেখিয়া জমিদার-গিল্পী বলিলেন, বিপিনকে লুচি দেব । ইহা জিজ্ঞাসা নয়, দিব্য পরিস্ফুট স্বগত উক্তি। অর্থাৎ ইহা শুনিয়া যদি বিপিন লুচি জানিতে বারণ করিয়া দেয় । কিন্তু বিপিন তরুণ যুবক, ক্ষুধাও তাহার যথেষ্ট । চক্ষুলজ্জা করিলে তাহার চলে না। সে চুপ করিয়া রহিল। জমিদার-গিল্পী আবার চারধান গরম লুচি আনিয়া তাহার পাতে দিলেন, বিপিন সে কখানা শেষ করিতে এবার কিছু বিলম্ব করিল চক্ষুলজ্জায় পড়িয়া। কারণ, ওদিকে জামাইবাবু হাত গুটাইয়াছেন। জমিদার-গিনী ঘরের দোরে ঠেস দিয়া দাড়াইয়৷ ছিলেন। বলিলেন, বিপিনকে লুচি দেব ! ইহাও জিজ্ঞাসা নয়, পূৰ্ব্ববং স্বগত উক্তি, তবে বিপিনকে শুনাইয়া বটে। বিপিন ভাবিল, তালমুশকিলে পড়া গেল ! লুচি দেব, লুচি দেব ! দেবার ইচ্ছে হয় দিয়ে ফেললেই তো হয়, মুখে অমন বলার কি দরকার ? জমিদার-গৃহিণী যদি ভাবিয়া থাকেন যে, বিপিন আর লুচি আনিতে বারণ করিবে, তবে তাহাকে নিরাশ হইতে হইল, ৰিপিন কোন কথা কহিল না। আবার চারখানা লুচি আসিল । চারখানি করিয়া ফুলকো লুচিতে ৰিপিনের কি হইবে ? সে পাড়াগায়ের ছেলে, থাইতে পারে, ওরকম এক ধাম লুচি হইলে তবে তাহার কুলায়। কাজেই সে বলিল, ন মাসৗষা, লুচি খাওয়া অভ্যেয নেই, তাত না হ’লে যেন খেয়ে তৃপ্তি হয় না। জমিদার-গিয়ী ভাত আনিয়া দিলেন, মনে হুইল তিনি নিশ্বাস ফেলিয়Lর্বাচিয়াছেন । বিপিন মনে মনে হাসিল । খাওয়া শেষ করিয়া সে বাহিরের ঘরে যাইতেছে, রোম্রাকের কোণের ঘরের জানালার কাছ দিয়া যাইবার সময় তাহাকে কে ডাকিল, ও বিপিনা ! বিপিন চাহিয়া দেখিল, জানালার গরাঙ্গে ধরিয়া ঘরের ভিতরে জমিদারবাবুর মেয়ে মানী দাড়াইয়া আছে । মানী দেখিতে বেশ স্বত্র, রংও ওর মায়ের মত ফাঁ, এখনও একহার চেহারা আছে, তৰে বয়স হইলে মায়ের মত মোটা হুইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে। মানী বুদ্ধিমতী মেয়ে, বেশভূষার প্রতি চিরকালই তাহার সময় দৃষ্টি, এখনও ৰে ধরণের একখানি রঙিন শাড়ি ও