পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२० বিভূতি-রচনাবলী —রাগ নয়, মনের দুঃখু তো হতে পারে । —কি দুঃখু ? তুমিই বলেছ বাবাকে ষে, না পোষায় আপনি অন্ত লোক রাখুন। বাবা তোমাকে তো কিছুই বলেন নি! বিপিন চুপ করিয়া রহিল। এ কথার জবাব দিতে গেলে অনাদিবাবুর বিরুদ্ধে অনেক কথা বলিতে হয়, তাহ। সে মানীকে বলিতে চায় না । 教會 মানী বলিল, বিপিনদা, আমার কাছে তুমি কি বলেছিলে, মনে আছে ? —কি কথা ? —এরই মধ্যে ভুলে গেলে ? বলেছিলে না, আমায় না জিজ্ঞেস ক’রে চাকরি ছাড়বে না ? কথা দিয়েছিলে মনে আছে ? —মনে ছিল না, এখন মনে পড়ছে বটে। —ত নয়, রাগের সময় তোমার জ্ঞান ছিল না, এই হ’ল আসল কথা । উঃ, কি জোর বেরিয়ে ধাওয়া হ’ল । দেখতে না দেখতে একেবারে বাতাবিনেবুর গাছের কাছে । ভাগিাল আমি ছুটে গেলুম খিড়কির দোরে ? নইলে এতক্ষণ রাণাঘাটের অদ্ধেক রাস্তা— —কিন্তু এতক্ষণ পরে একটা কথা বলি মানী, তুই ষে এসেছিল বা এখানে আছিস এ কথা আমি কিন্তু কিছু জানি না। আমি তোকে খিড়কি-দোরের পথে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । —বাবা কিছু বলেন নি ? —উনি তোর কথা আমার কাছে কি বলবেন ? কখনও বলেন, না আমিই জিজ্ঞেস করি ? —ত নয় । আমি থাকলেই তো খরচ বাড়ে, খরচ বাড়লেই জমিদারির তাগাদ জোর ক'রে করবার ভার পড়ে তোমার ওপর । আমি ভেবেছিলুম, বাবা সে কথা তুলেছেন বুঝি ; আমি অffছ মুতরাং টাকা চাই, এমন কথা যদি বলে থাকেন । —না, সে কথা ওঠে নি। তুই চলে যাবি শিগগির এ তে জেনেই গিয়েছিলুম, আবার এর মধ্যে আসবি তা ভাবি নি । —তা ভাববে কেন ? দেখতে পেলে বুঝি গা জালা করে ? দূরে রাখলেই বাচ বুঝি ? —বলেছি কোন দিন ? মানী ঘাড় দুলাইয়া হাসিতে হাসিতে বলিল, তোমায় রাগাচ্ছি বিপিনদ, রাগাচ্ছি। সেই সব তোমার ছেলেবেলার মত এখনও আছে, কিছু বদলায় নি। আচ্ছা, একটা কবিতা বলব শুনবে ? - বিপিন হাত নাড়িয়া যেন মশা তাড়াইবার ভঙ্গি করিয়া বলিল, রক্ষে কর । ওসব ভাল লাগে না আমার, বুঝি-মুঝি না। বাদ দাও, জীন তো আমার বিষ্ঠে ! মানী গম্ভীর হস্তয়া বলিল, বিপিনদা, আমার আর একটা কথা রাখতে হবে । তোমায় পড়াশুনা করতে হবে । তোমায় কতকগুলো ভাল বই দেবি, সেগুলো কাছারিতে গিয়ে