পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8° বিভূতি-রচনাবলী খাওয়াইবার জন্ত পীড়াপীড়ি করিত্বে, দুটা মিষ্ট কথা বলিবে । নিঃসঙ্গ ঘরের রোগশয্যায় এক মরিল, কেহ আপনার জন ছিল না ষে একটু মুখে জল দেয় । কে জানে, তাহার পিতা স্বর্গগত বিনোদ চাটুজ্জে পুরাতন বন্ধুর মৃত্যুশয্যাপার্থে অদৃশ্ব চরণে আসিয়া অপেক্ষা করিতেছিলেন কি না ? বুড়ী ভালবাসা কাহাকে বলে জানিত। বিনোদ চাটুজ্জে মহাশয় পরলোকগমন করিলে পর আর সে ভাল করিয়া হাসে নাই, ভাল করিয়া আনন্দ পায় নাই জীবনে । তাহাফে ছুটিয়া দেখিতে আসিত এইজন্য যে, তাহার মুখে-চোখে হাবে-ভাবে স্বৰ্গীয় নায়েব মহাশয়ের অনেকখানি ফুটিয়া বাহির হয় । কৰ্ত্ত মহাশয়েরই ছেলে, কর্তা মহাশয়ের তরুণ প্রতিনিধি । তাহার সঙ্গে দুইটা কথা কহিয়াও স্বখ । আজি সে বোঝে, এই যে মনিীর সম্বন্ধে কথা বলিতে তাহার ইচ্ছা হয়, কাহারও সঙ্গে অস্তত কিছুক্ষণ সেকথা বলিয়া ও মুখ, না বলিলে মন ইiপাইয় উঠে, দেখা তো হইতেছেই না, তাহার উপর তাহার সম্বন্ধে কথা না বলিলে কি করিয়া টিকিয়া থাকা যায়—এ রকম তো কামিনী মাসীরও হইত তাহার বাবার সম্বন্ধে ! অভাগিনী যে আনন্দ হয়তো পায় নাই প্রথম জীবনে, e/বিনোদ চাটুজ্জে নায়েব মহাশয়ের সাহচর্ধ্যে তাহা সে পাইয়াছিল। তাহার বঞ্চিত নারী-হৃদয়ের সবটুকু কৃতজ্ঞতা প্রেমের আকারে ঢালিয়া দিয়াছিল তাই নায়েব মহাশয়ের চরণযুগলে । কি পাইয়াছিল, কি না পাইয়াছিল, আজ তাহ কে বুঝিবে ? ত্ৰিশ বছর পরে কে বুঝিবে মানী তাহার জীবনে কি অমৃত পরিবেশন করিয়াছিল একদিন ? সপ্তম পরিচ্ছেদ বেলা পড়িলে বিপিন পলাশপুরে পৌছিল । বাহিরের বৈঠকখানায় শুiমহরি চাকর বাট দিতেছিল, বিপিন বলিল, বাৰু কোথায় রে ? —রাণাঘাট গিয়েছেন আজ সকালবেলা । সন্দের সময় আসবেন বলে গিয়েছেন। —রাণাঘাটে কেন ? —উকিলবাৰু পত্তর দিয়েছেন, বলছিলেন গিল্পীমাকে—কি মামলার কথা আছে। আপনার कथंie एजिकूल । —আমার কথা ? —ষ্ট্যা, বাৰু বলছিলেন, ধোপাখালির কাছারি থেকে আপনি টাকা নিয়ে এলি আপনাকে রাণাঘাট পাঠাবেন । টাকার বড় দরকার নাকি— -