পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপিনের সংসার ९8१ —ওই যে বললাম, সব পড়া হয় নি। ‘দত্তাখানা পড়েছি, বেশ চমৎকার লেগেছে। " —‘শ্ৰীকান্ত’ পড়নি ? —সময় পাইনি। সেখান আনিওনি সঙ্গে, এর পর পড়ব ব'লে রেখে এসেছি কাছারিতে। ‘দ্বজ্ঞা’খানা ফেরত এনেছি। —তোমার কাছে সবই রেখে দাও না, মাঝে মাঝে পড়.। একলাটি থাক কাছারিতে। আমার সঙ্গে আরও ষে সব বই আছে, যাবার সময় তোমার কাছে রেখে যাব। তুমি সেখানে প’ড় বসে। আচ্ছা, বল তো বিজয়া কে ? বিপিন হাসিয়া বলিল, ও । একৃজামিন করা হচ্ছে বুঝি ? মাস্টারনী এলেন জামার। মানী কৃত্রিম রাগের স্বরে অথচ ঈষৎ লাজুক ভাবে বলিল, আবার! উত্তর দাও আমার কথার । —বিজয়া তোমার মত একটি জমিদারের মেয়ে। —তারপর ? —তারপর আবার কি ? নরেনের সঙ্গে তার ভালবাসা হ’ল –কথাটা বলিয়াই বিপিনের মনে হইল মানী পাছে কি ভাবে, কথাটা বলা উচিত হয় নাই, মানীও তো জমিদারের মেয়ে! তোমার মত কথাটা না বলিলেই চলিত। কিন্তু মানীর মুখ দেখিয়া বোঝা গেল না। সে বেশ সহজ ভাবেই বলিল, মনে হচ্ছে, পড়েছ। ভাল, পড়লে মাস্থ্য হয়ে যাবে। এইবার রবি ঠাকুরের চয়নিকা’ ব’লে কবিতার বই আছে, সেখান থেকে কবিতা মুখস্থ ক’র। খুব ভাল ভাল কবিতা। বিপিন খিল খিল করিয়া হাসিয়া বলিল, কবিতা আবার মুখস্থও করতে হবে। উঃ, তুই হাসালি মানী, পাঠশালায় ইস্কুলে বা কখনও হ’ল না, উঃ, এই বুড়ে বয়সে বলে কি না, হি-ছি, বলে কি না— —ই, মুখস্থ করতে হবে। আমার হুকুম। শুনতে বাধ্য তুমি। মানুষ বলে বমি পরিচয় দিতে চাও তবে তা দরকার। বা বলি তাই শোন, হাসিখুশি তুলে রাখ এখন— কিন্তু অত্যন্ত কৌতুকের প্রাবল্যে বিপিনের হাসি তখনও থামিতে চায় না। মানী মাস্টারনী সাজিয়া তাহাকে কবিতা মুখস্থ করাইতেছে—এই ছবিটা তাহার কাছে এতই আমোদজনক মনে হইল যে, সে হাসির বেগ তখনও খামাইতেই পারিল না। এবার মানীও হাসিয়া ফেলিল । বলিল, বডড হাসির কথাটা কি ষে হ'ল তা তো বুঝিনে। আমার কথাগুলো কানে গেল, না গেল না ? —খুব গিয়েছে। আচ্ছা, তোর কবিতা মুখস্থ আছে ? —আছেই তো। 'চয়নিৰা’র আদ্ধেক কবিতা মুখস্থ আছে। -जछिा ? ७ककै बल नl ? —এখন কবিতা বলবার সময় নয়। আর বললেই বা তুমি বুঝবে কি ক’রে হযেছে কি না ? তুমি তে জান টেকি, কি ক’রে ধরবে ?