পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ (t 8 दिङ्कडि-द्रक्रमादलौ —যে দেখেছিল সে-ই বলেছে । এই নিয়ে গায়ে খুব কথা চলছে। এই সময় তোমার একবার যাওয়া খুব দরকার বলে মনে করি। বিপিন শুনিয়া অবাক হইয়া গেল—তাহার বোন অসঙ্গত কিছু করিতে পারে ইহা তাহার মাথায় আসে না। তাহাকে বিপিন নিতান্ত ছেলেমানুষ বলিয়া জানে—আচ্ছা, যদি পটলের সঙ্গে কথাই বলিয়া থাকে তাহাতে দোষ বা কি আছে ? পরক্ষণেই তাহার মনে হইল বাড়ী যাওয়াটা খুব দরকার বটে এসময়। পলাশপুরে এমন কোনো জরুরী দরকার নাই, যে আজ না ফিরিলেই চলিবে না। বরং একবার বাড়ী ঘুরিয়া আসা যাক। 8 বৈকালের দিকে বিপিন গ্রামে পৌছিল। বাড়ী ঢুকিতেই প্রথমে মনোরমার সঙ্গে দেখা। স্বামীকে হঠাৎ এভাবে আসিতে দেখিয়া সে যেন একটু অবাক হইয়া গেল। বলিল— কখন এলে, কোন গাড়ীতে ? চিঠি তো দাও নি ? ভাল আছ তো ? বিপিন পুটুলিটা স্ত্রীর হাতে দিয়া বলিল—ধরে এট। মার জন্যে বাতাসা আছে, ভেঙ্গে না যায় দেখো । নেবেঞ্চুস আছে, ছেলেপিলেদের ডেকে দাও। তোমরা কেমন আছ ? বলাই কোথায় ? —বলাই গিয়েছে মাছ ধরতে । —কেমন আছে সে ? মনোরম চুপ করিয়া রহিল। —কেমন আছে বলাই ? —ভালো না। আমার কথা কেউ তো শোনে না, যা পাচ্চে তা খাচ্চে, রোজ নদীর ধারে মাছ ধরতে গিয়ে জলের হাওয়ায় বসে থাকে। জর হয় রোজ রাত্তিরে—তার ওপর খায়-দায়। ওষুধবিযুদ্ধ কিছুই না । —মূখ হাত পা কেমন আছে ? —বেজায় ফেলা। এলেই দেখে বুঝতে পারবে। আর একটা কথা শুনেচ ? —হ্যা, নিবারণ কাকার মুখে শুনলাম রাণাঘাটে। কি ব্যাপার বলে তো ? —যা শুনেছ, সব সত্যি। আমার কথা ঠাকুরঝি একেবারে শোনে না—কতদিন বারণ করেছি। মাকেও বলে দিইছি, মা শুনেও শোনেন না। এখন গায়ে চি চি পড়ে গিয়েছে —এখন আমার কথা হয় তো তোমাদের ভাল লাগলেও লাগতে পারে। দাসী-বাদীর মত এ বাড়ীতে আছি বই তো নয় ? বিপিন বিরক্ত হইয়া বলিল—আঃ, যা জিজ্ঞেস করছি তার উত্তর দাও না আগে । তুমি