পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ Y বলাইয়ের দাহকার্ধ্য সম্পাদন করিয়া বিপিন রাত্রি দুপুরের পর বাড়ী আসিল। বাড়ীযুদ্ধ সবাই চীৎকার করিয়া কাদিয়া উঠিল—ওপাড়া হইতে কৃষ্ণলাল চক্রবর্তী আসিয়া অনেকক্ষণ হইতে বসিয়া ছিলেন, বিপিনের মাকে নানারকম বুঝাইতেছিলেন–তিনি বুঝিলেন, এ সময় সাৰনা দেওয়া বৃথা, স্বতরাং হক হাতে রোয়াকের এক পাশে গিয়া দাড়াইলেন। বিপিন বলিল, কাক, কখন এলেন ? তামাক পেয়েছেন ? —জার বাবা তামাক ! তামাক তো আছেই। এখন যে বিপদে পড়ে গেলে তা থেকে সামলে উঠলেই বাচি। বৌদিদিকে বোঝাচ্ছি সেই সলো থেকে, উনি মা, ওঁর কষ্ট ভো চোখে দেখা যায় না—এসো বাবা—পরে বিপিনের চোখে জল পড়িতে দেখিয়া বলিলেন—আহা হা, তুমি অধৈৰ্য হোলে চলবে কেন বাবা ? এদের এখন তোমাকেই ঠাও করতে হবে—বোঝাতে হবে—বৌদিদি, বৌমা, বীণা—তোমাকে দেখে ওরা বুক বাধবে—তোমার চোখের জল পড়লে কি চলে ? -- এমন সময় আরও দু-পাচজন প্রতিবেশী আসিয়া উঠানে দাড়াইলেন। একজন ঘরের মধ্যে চুকিয় বিপিনের মাকে বোঝাইতে গেলেন। একজন বিপিনের হাত ধরিয়া পাশের ঘরে লইয়া গিয়া বসাইলেন। —রাত অনেক হয়েছে, শুয়ে পড়ে। সব। সকলেরই শরীর খারাপ, কেঁদেকেটে আর কি হবে বলে বাবা, যা হবার তা হয়ে গেল। সবই তার খেলা, জুনিয়াটাই এইরকম বাবা, আজি অামার, কাল অার একজনের পালা—শুয়ে পড়ো— কৃষ্ণলাল চক্রবর্তী রাত্রি এখানেই কাটাইবেন। ইহার একা থাকিবে তাহ হয় না। আজ রাত্রে অন্ততঃ বাড়ীতে অন্য কেহ থাকা খুব দরকার। বিপিন সারারাত্রি ঘুমাইতে পারিল না, কুঞ্চলালের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তায় রাত কাটিয়া গেল । কৃষ্ণলাল বলিলেন—তুমি ক'দিনের ছুটি নিয়ে এসেছ বাবাজি ? —আজে ছুটি তো নয়। রাণাঘাট কোর্টে এসেছিলাম কাজে - সেখান থেকে বাড়ী এলাম একদিনের জন্যে। তারপর তো বলাইয়ের অস্থখ ক্রমেই বেড়ে উঠলো আর বাই কি করে—আটকে পড়লাম। তবে জমিদার বাবুকে চিঠি লিখে সব জানিয়েছি—এ কথাও লিখে দেবো কাল। এখন ধরুন এদের ফেলে হঠাৎ কি করে বাষ্ঠী থেকে যাই ? মায়ের ওই অবস্থা, আমি কাছে থাকলেও একটা সাঙ্কন, তারপর ছোড়াটার শ্রাদ্ধশাস্তির একটা ব্যবস্থাও আমি না থাকলে কি করে হয় বলুন ? —শ্ৰাদ্ধশাস্তি আর কি, তিলকাঞ্চন করে দ্বাদশটি ব্রাহ্মণ খাইয়ে দাও—এ তো জাকিয়ে थांक कब्रांब्र किङ्ग ८नरें । cकांमब्रकाश तक इसग्नां । সকালের দিকে মা চীৎকার করিয়া কাজিতে লাগিলেন দেখিয়া বিপিন বাড়ী হইতে বাহির