পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৪ 源 বিভূতি-রচনাবলী গাছটার কাছে গিয়াছে’- সে ছাদের উপরে দাড়াইয় তাহার দিকে চাহিয়া আছে---ঘদি DDD DDS BBB BB S BB B DDBB BBD DBBS BBBBB BBBS BB সাজিয়া দিলে ভাল হইত—দেওয়া উচিত ছিল, মা ৰেন কি ! লোক বাড়ীতে অসিলে তাহাকে শুধু মুখে বিদায় করিতে নাই। ইহা ভদ্রত। তাহাকে ভাকিয়া পান লাজিয়া দিতে বলিলেই সে পান দিত। কাপড় তুলিয়া বীণা নামিয়া আসিল । তাহার মন খুব হালকা—ভালই হইয়াছে, আজ সে বুঝিয়াছে—পটলের সঙ্গে দেখা না-করা এমন কঠিন কাজ নয়, ইচ্ছা করিলেই হয়। একটা কঠিন কৰ্ত্তব্য সে সম্পন্ন করিয়াছে। বলাইয়ের শ্রাদ্ধ মিটিয়া গেলে পটল আর একদিন আসিল। বীণা উঠান বাট দিতেছিল, মুখ তুলিয়া কে আসিতেছে দেখিয়াই সে হাতের ঝাটা ফেলিয়৷ ছুটিয়া বাড়ীর মধ্যে ঢুকিল। তাহার বুকের মধ্যে যেন টেকির পাড় পড়িতেছে। মুখ শুকাইয়া গিয়াছে। বাড়ীর মধ্যে ঢুকিয়াই মনে হইল, ছি, আমন করিয়া ছুটিয়া পলাইয়া আসা উচিত হয় নাই।—পটলদা কি দেখিতে পাইয়াছে ? বোধ হয় পায় নাই, কারণ তখনও সে তেঁতুলতলার মোড়ে ; তেঁতুলগাছের গুড়িটার আড়ালে। যাহা হউক, পটল-দা তো বাঘ নয়, ভালুকও নয়— অষনভাবে ছুটিয়া পলাইবার মানে হয় না। সহজভাবে মায়ের সামনে গিয়া কথা বলাই তো ভালো। ব্যাপারটাকে সহজ করিয়া তোলাই ভালো । কিন্তু বীণা একদিনও বাহিরে আসিল না—এমন কি যখন পটল জল খাইতে চাহিল— বীণার মা বলিলেন, ওমা বীণা, তোর পটলদাদাকে এক গেলাস জল দিয়ে যা—বীণা নিজে না গিয়া বিপিনের বড়ছেলে টুচুর হাতে দিয়া জলের গ্লাস পাঠাইয়া দিল । তাহার হাসি পাইতেছিল। মনে মনে ভাবিল—সব দুষ্টুমি পটল-দার। জলতেষ্ট না ছাই পেয়েছে ! আমি আর বুঝিনে ও সব যেন! সে যাইবে না, কখনও যাইবে না। জীবনে আর কখনো পটল-দার সঙ্গে দেখা করিবে মা। শেষ, সব শেষ হইয়া গিয়াছে। ס\ ইহার পাঁচ ছ'দিন পরে বীণা একদিন সন্ধ্যার সময় ছাদে শুকাইতে দেওয়া মুম্বুরির ডাল তুলিতে গিয়াছে—ছাদের আলিসার কাছে আসিতেই দেখিতে পাইল, পটল-মূল নীচে বাগানের কাঠালতলায় দাড়াইয়া ওপরের দিকে চাহিয়া আছে। বীণার সমস্ত শরীর দিয়া যেন কি একটা বহিয়া গেল ! হঠাৎ পটল-জাকে এ ভাবে দেখিবে তাহা সে ভাবে নাই। কিন্তু আজ কয়দিন বীণা জুপুরে ও বিকালের দিকে নির্জনে থাকিলেই ভাবিয়াছে পটল-গার কথা। অন্য কিছু নয়, সে শুধু ভাবিয়াছে এই কথা—আচ্ছা