পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপিনের সংসার ২৮৭ —না, কি কষ্ট ! বেশ আছি, তোমার বাবা যথেষ্ট স্নেহ করেন, বড় ভাল লোক । —তবে আমাদের এখানেহ থাকুন। —আছিই তো । কোথায় আর বাবে ধরে – —যদি আমাদের গায়ে বাস করেন, আমি বাবাকে বলে আপনাকে জমি দেওয়াবে। আসবেন ? বিপিন বিস্থিত হইল। কখনো এ মেয়েটি তাহার সম্মুখে এত দিন ভাল করিয়া কথাই কয় নাই—আজ এত কথায় তাহাকে পাইয়া বসিল কোথা হইতে ? বলিল—তা কি করে হয়, পৈতৃক বাড়ী রয়েচে সেখানে— —কিন্তু ডাক্তারি তে। এখানেই করতে হবে— —লে তে। বটেই । —আপনি আজ বাড়ী যাবেন কখন ? —খেয়েদেয়ে ষাবো দুপুরে । —আমি চলে যাবার আগে আসবেন কিন্তু— —ঠিক আসবে,—নিশ্চয়ই আসবে;– মেয়েটি চায়ের পেয়ালা ও কঁাসি লইয়া চলিয়া গেল । বিপিন ভাবিল কেমন চমৎকার মেয়েটি। মনে বেশ মায়া আছে। হবে না কেন, কি রকম বাপের মেয়ে ! দত্তমশায়ও চমৎকার মহিষ । ९ চ। খাইয়। ডিসপেনসারিতে গিয়াই বিপিন যন্ধু ডাক্তারের কাছে একখানি পত্ৰ দিয়া একজন লোক পাঠাইয়া দিল—তাহার হাতের রোগীটি দেখিবার জন্য, যত দিন সে না ফেরে। তাহার পর দোর বন্ধ করিয়। বাহির হইবে, এমন সময়ে দরজার এক পাশে মেঝের উপর একখানা খামের চিঠি পড়িয়া আছে দেখিয় সেখান তুলিয়া লইল। ইতিমধ্যে কখন পিয়ন আসিয়া চিঠিখান বোধ হয় দরজার ফাক দিয়। ফেলিয়া দিয়া গিয়াছে। খামখানার উপরকার হস্তাক্ষর দেখিয়া তাহার বুকের রক্ত যেন জুলিয়া উঠিল। এ লেখা মানীর হাতের লেখার মত বলিয়া মনে হয় যেন ! বাড়ীর ঠিকানা ছিল, গ্রামের পোস্টমাস্টার সে ঠিকানা কাটিয়া এখানে পাঠাইয়াছে । নিশ্চয়ই মানীর চিঠি নয়—সে অসম্ভব ব্যাপার । - চিঠি খুলিয়। প্রথম দুই চার ছত্ৰ পড়িয়াও সে কিছু বুঝিতে পারিল না, নিচের নামটা একবার পড়িয়া লইতে গিয়া তাহার মাথা ঘুরিয়া গেল। মানীরই চিঠি। মানী লিখিয়াছে –