পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Šobr বিভূতি-রচনাবলী প্রভিডেন্ট ফণ্ডের, তাতেই চলছিল। আর ও মাছ বেচে, কাঠ ভেঙে, শাক স্কুলে জাম্ব কিছু রোজগার করতো। তারপর পূজোর আগে আমি পড়লাম অস্বখে। টাকাগুলো ব্যয় হয়ে গেল । ও কি করে আমায় বাচিয়ে তুলেছে সে অস্থখ থেকে ! তারপর এই রোজ সকালে ঠাও বিলের জলে শাক তুলে তুলে এই অস্থখটা বাধিয়েছে। এখন ওকে আপনি বচোন— এ সব কথা নিয়ে ভাসানপোতায় তো খুব রটনা—আমায় গালাগাল আর কুচ্ছে না করে তার জল খায় না। তাই বলচি আপনি শোনেন নি কিছু ? ৰিপিন অবাক হইয়া বিশ্বেশ্বরের কথা শুনিতেছিল। এমন ঘটনা সে কখনো শোনে নাই । শুনিয়; তাছার সারা মন বিশ্বেশ্বরের প্রতি বিরূপ হইয়া উঠিল। ছি, ছি, ব্ৰাহ্মণ সস্তান হইয়া শেষকালে কি না বাঙ্গী মাগীর সঙ্গে—-না, আজ কি পাপই করিয়াছিল সে, কাহার মুখ দেখিয়া না জানি উঠিয়াছিল । সে বলিল—টাকা রাখুন, টাকা দিতে হবে না। কিন্তু দামী ওষুধ কিছু লাগবে। য়্যাষ্টিফ্লজিস্টিন একটা কিনে আমুন, অামার কাছে নেই, লিখে দিচ্চি আনিয়ে নিন। প্রেস্ক্রিপশন একটা করে দিই—শক্ত রোগ— বিশ্বেশ্বর ব্যাকুল ভাবে বলিল-বাচবে তো ডাক্তারবাৰু? —নার্সিং চাই ভাল। আর পথ্যি – বিশ্বেশ্বর বিপিনের হাতে ধরিয়া—ওষুধগুলো আপনি লিখে দিয়ে গেলে হৰে ন আনিয়ে দিন। এ গায়ের কোন লোক আমার কথা শুনবে না । এই ঘটনার জভে পৰাই-বুঝলেন না ? কেউ উক মেরে দেখে যায় না। আপনিই ভবস, ডাক্তারবাৰু। বিপিন বিরক্ত হইল। ভাল বিপদে পড়িয়াছে সে । সে নিজে এখন সেই স্বাণাঘাট হইতে স্থ্যান্টিক্লজিস্টিন আনিতে যাইবে ? টাকাই বা দিতেছে কে ? সে বলিল -আমার ডাক্তারখানায় যদি থাকতো তবে আলাদা কথা ছিল । আমার কাছে ও সব থাকে না। আপনি এক কাজ করুন, গরম খোলের পুলটিশ দিন। রাই সর্বের খোল হলে খুব ভাল হয় । তাও যদি না পান, গরম ভাতের পুলটিশ দিন। আর আমার ডাক্তারখানায় আন্ধন, ওষুধ দিচ্চি। বিশ্বেশ্বর বিপিনের সঙ্গে আবার ডাক্তারখানায় আসিল । ডাক্তার হিসাবে বিপিন এ কথাও ভাবিল যে, ওই কঠিন রোগীর মুখে জল দিবার কেহই রহিল না কাছে, বিশ্বেশ্বর যাতায়াতে চার ক্রোশ হাটিয়া ঔষধ লইয়া যাইতে দুই ঘণ্টা তো নিশ্চয় লাগাইবে, এ সময়টা এক পড়িয়া থাকিবে ওই মেয়েটা ? পরক্ষণেই ভাবিল—তুমিও যেমন। স্থলে বাঙ্গী জাত, ওদের কঠিন জান-ওদের এই আভোস । BBDD DBB BBBHH BB BBB BBB KB BHH DBB BBB BBB SSSS DD মেয়ে হয় না, যেমন রূপ, তেমনি গুণ। বিশ্বেশ্বরের গত অস্ত্রখের সময় বুক দিয়া সেৰ কৰিয়াছে—প্রভিডেন্ট ফণ্ডের টাকা খরচ করিতে দেয় না, নিজে শাক পাতা তুলিয়া, খুনিতে