পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विनिमब्र जर्नोद्भ \4גס বিশ্বেশ্বরের প্রতি সে অবিচার করিতে চায় না। ইহাকে একা এই শোকের মধ্যে ফেলিয়া যাইতে তাহার মন সরিল না। রাত্রিটা বিপিন রহিয়া গেল।. ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ X বিপিনের ডাক্তারখানায় সম্প্রতি মাসখানেক একটিও রোগী আসে নাই । রোজই সকালে বিকালে নিয়মিত ডাক্তারখানায় গিয়া তীর্থের কাকের মত বসিয়া থাকে । হাতের পয়সাকড়ি ফুরাইয়া গেল । কোনো দিকে রোগবালাই নাই, দেশটা হঠাৎ যেন মধুপুর কি শিমুলতলা হইয়া দাড়াইয়াছে। BBBB BB BB BB BBS BBB BBS BBBBB BB BBS DB BBB DDD আছেন, কিন্তু তাহার মুখে ধৰ্ম্মতত্ত্ব শুনিয়া শুনিয়া একঘেয়ে হইয়া পড়িয়াছে, আর ভাল লাগে না । মনোরমার জন্য মন কেমন করে আজকাল । মনোরমাকে সাপে কামড়ানোর পর হইতে বিপিন লক্ষ্য করিতেছে স্ত্রীর উপর তাহার মনোভাব অদ্ভূত ভাবে পরিবর্তিত হইয়াছে। মনে হয় মনোরম তো চলিয়া যাইতেছিল, একদিনও সে মনোরমাকে মুখের একটি মিষ্ট কথাও বলে নাই, এ অবস্থায় যদি সেদিন সে সত্যই মারা পড়িত বিপিনকে চিরজীবন অমু তাপ করিতে হুইত সে সব ভাবিয়া। স্বখের মুখ কখনো সে দেখে নাই, বিপিন তাহাকে এবার স্বর্থী করিবে । মামুষের মনের এই বোধ হয় গতি, বড় বড় অবলম্বন যখন চলিয়া যায়, তখন যে আশ্রয়কে অতি তুচ্ছ, অতি ক্ষুদ্র বলিয়া মনে হইত, তাহাই তখন হইয়া দাড়ায় অতি প্রিয়, অতি প্রয়োজনীয়। মনোরমার চিন্তা কখনো আনন্দ দেয় নাই, আজকাল দেয় । তাহার প্রতি একটা অমুকম্পা জাগে, স্নেহ হয়, তাহাকে দেখিতে ইচ্ছা হয়। কি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার এ সব ! বিপিন মাস দুই বাড়ী যায় নাই, কিছু টাকা হাতে আসিলে একবার বাড়ী যাইত। কিন্তু এই সময়ই হাত একেবারে খালি । দত্ত মহাশয় একদিন বলিলেন, ডাক্তারবাবু, শাস্তি কাল পত্র লিখেচে, আপনার কথা জিগ্যেস করেচে, আপনি কেমন আছেন, ডাক্তারি কেমন চলচে । আর একটা লিখেচে, ওর শ্বশুরের চোখ অস্ত্র হবে কলকাতা বা রাণাঘাটের হাসপাতালে। আপনি সে সময়ে সময় করে দুদিনের জন্তে ওদের ওখানে থেকে শ্বশুরের সঙ্গে রাণাঘাট বা কলকাতা যেতে পারবেন কি না লিখেচে । শাস্তি থাকবে, আমার জামাই থাকবে। অবিঙ্গি আপনার ফি এবং যাতী