পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ পরদিন বিকালে দুইখানি গরুর গাড়ীতে শাস্তি, শাস্তির স্বামী গোপাল, বিপিন ও শাস্তিৱ খন্ডর স্টেশনে আসিল এবং সন্ধ্যার পরে রাণাঘাটে পৌঁছিয়া সিদ্ধান্তপাড়ার বাসায় গিয়া উঠিল। শান্তির এক মামাশ্বতর বাসা পূর্ব হইতেই ঠিক করিয়া রাখিয়াছিলেন । দুখানি মাত্র ঘর, একখানা ছোট রান্নাঘর, ছোট একটু উঠান। তাড়া পাঁচ টাকা । শাস্তি অজ পাড়াগায়ের মেয়ে জরাজ জায়গায় হাত পা ছড়াইয়া খেলাইয়া বাস করা অভ্যাস, সে তো বালা দেখিয়া স্বামীকে বলিল—এখানে কেমন করে থাকব ই্যা গ—ওম, এাৰ উঠোন—জার এইটুকু রান্নাঘরে কি রাধা যায় । আর ঐ পাতকুয়োর জলে নাইবো ? রাণাঘাটে বিপিন আসিল অনেকদিন পরে। মানীদের বাড়ীতে কাজ করিবার সময় কোর্টে তখন আমিতেই হইত। এইজন্তই রাণাঘাটের অনেক জিনিসের সঙ্গে মানীর কথা যেন জড়ানো। গোপালের সহিত বাজার করিতে বাহির হইয়া বিপিন দেখিল পূর্বপরিচিত কত দৃশু তাহার মনে কষ্ট দিতেছে-মানীর কখ। অনেকটা চাপা পড়িয়া গিয়াছিল, আবার আভ্যন্ত নূতন রূপে সে সব দিনের স্থতি মনের দ্বারে ভিড় করিতে লাগিল। কষ্ট হয়, সত্যই कडे रङ्ग । সকালে ধোপাল এবং শাস্তির শ্বশুরকে লইয়া বিপিন রাণাঘাট হাসপাতালে ডাক্তার জার্চারের কাছে গেল। বলাই যখন হাসপাতালে ছিল, তখন আর্চার সাহেবের সঙ্গে বিপিনের আলাপ হয়। আর্চার সাহেব বিপিনকে দেখিয়াই চিনিতে পারিলেন। বলিলেন— আপনার ভাই কোথা ? মারা গিয়েচে ?” তা যাবে, বাচবার কোনো আশা ছিল না । শাস্তির শ্বস্তরের চোখ দেখিয়া বলিলেন—এখন একে দশ বারোদিন এখানে থাকতে হৰে । চোখে একটা ওষুধ দিচ্চি-চোখ কেমন থাকে, কাল আমায় এসে জানাবেন । কাটাবার এখন দরকার নেই। বলাই যে জায়গাটাতে গুইয়া থাকিত খাটে—বিপিন সেখানটা গিয়া দেখিয়া আসিল । এখন অন্ত রোগী রহিয়াছে ! बलॉरे মানী--কামিনী মালী •••স্বপ্ন--- হাসপাতাল হইতে ফিরিয়া আসিয়া বিপিন দেখিল শান্তি বাসা বেশ চমৎকার গুছাইয়া লইয়াছে। দুটি স্বরের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ছোট ঘরটিতে বিপিনের একা থাকিবার এবং বড় ঘরটিতে উহারা তিনজনের একত্র থাকিবার বন্দোবস্ত করিয়াছে। দুটি ঘরই ইতিমধ্যে ঝাড়িয়া পরিষ্কার করিয়াছে, মেঝে জল দিয়া ধুইয়া ফেলিয়া শুকনে শেকড় দিয়া বেশ করিয়া মুছিয়া ফেলিয়াছে। বিছানাপত্র পাতিয়াছে দুটি ঘরেই, বাহিরে বসিবার জঙ্ক একটি সতরঞ্চি পাতিয়া রাখিয়াছে। উহাদের দেখিয়া বলিল –কি হোল বাবার চোখের ? - বিপিন বলিল-চোখ কাটতে হবে ন!—তবে এখানে দশ বারো দিন এখন থাকতে হবে। ৰঘুৰ দিয়া ছানি নষ্ট করে দেবে বলে। ও; তুমি ৰে শাভি, বেশ গুছিয়ে ফেলেছে ঘরঙ্গোর।